পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানে না। পাড়াগায়ের স্কুলের ফোর্থ ক্লাসের ছেলে, কেহ নামও 6वाहन नाछे !-- কে বলতে পারে।--তুমি-তুমি ? ক্লাসে সুচ পড়িলে তাহার শব্দ শোনা যায়। অপুর অস্পষ্ট মনে হইল নামটা-যেন তাহার নিতান্ত অপরিচিত নয়, কোথাও যেন পাইয়াছে ইহার আগে । কিন্তু তাহার পালা আসিল ও চলিয়া গেল, তাহার মনে পড়িল না । ওদিকের বেঞ্চিটা ঘুরিয়া যখন প্রশ্নটা তাহার সম্মুখের বেঞ্চের ছেলেদের কাছে আসিয়া পৌছিয়াছে, তখন তাহার হঠাৎ মনে পড়িল, নিশ্চিন্দিপুরে থাকিতে সেই পুরাতন “বঙ্গবাসী’গুলার মধ্যে কোথায় সে এ-কথাটা পড়িয়াছে --বোধ হয়, সেই “বিলাত যাত্রীর চিঠি’র মধ্যে হইবে-তাহার মনে পড়িয়াছে । পরীক্ষণেই সে উঠিয়া দাড়াইয়া বলিল-ফরাসী দেশের লেখক খুব বড় লেখক । প্যারিসে। তঁর পাথরের মূর্তি আছে, পথের 枣忆丕比 হেডমাস্টার বোধ হয় এ ক্লাসের নিকট এ ভাবে উত্তর আশা করেন নাই, তাহার দিকে চশমা-আঁাটা জ্বলজ্বলে চোখে পূর্ণ দৃষ্টিতে চাহিতেই অপু আভিভূত ও সঙ্কুচিত অবস্থায় চোখ নামাইয়া লইল । হেডমাস্টার বলিলেন, আচ্ছা, বেশ । পথের ধারে নয়, বাগানের মধ্যে মূর্তিটা আছে—বসে বসে সব। সত্যেনবাবু তাহার উপর খুব সন্তুষ্ট হইলেন । ছুটির পর তাহাকে সঙ্গে করিয়া নিজের বাসায় লইয়া গেলেন । ছোটখাটো বাড়ি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, একাই থাকেন । স্টোভ জ্বালিয়া চা ও খাবার করিয়া তাহাকে দিলেন, নিজেও খাইলেন । বলিলেন, আর একটু ক’রে গ্রামারটা পড়বে—আমি তোমাকে দাগ দিয়ে দেখিয়ে দেবো । অপুর লজ্জাটা অনেকক্ষণ কাটিয়া গিয়াছিল, সে আলমারিটার দিকে আঙল দিয়া দেখাইয়া বলিল-ওতে আপনার অনেক বই अigछ ? সত্যেনবাবু আলমারি খুলিয়া দেখাইলেন। বেশীরভাগই আইনের २१