পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঝুলাইয়া পথ চলিতে চলিতে সামনে পাওয়া গেল। আমহাস্ট ষ্ট্রট । তাহার পর আরও খানিক ঘুরিয়া সে পঞ্চানন দাসের গলি বাহির করিল। অখিলবাবু সন্ধ্যার আগে আসিলেন, কালো নাদুস-নুদুস চেহারা, অপুর পরিচয় ও উদ্দেশ্য শুনিয়া খুশী হইলেন ও খুব উৎসাহ দিলেন। ঝিকে ডাকাইয়া তখনই খাবার আনাইয়া অপুকে খাইতে দিলেন, সারাদিন খাওয়া হয় নাই জানিতে পারিয়া তিনি এত ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন যে, নিজে সন্ধ্যাহিক করিবার জন্য আসনখানি মেসের ছাদে পাতিয়াও আহিব্রুক করিতে ভুলিয়া গেলেন। সন্ধ্যার সময় সে মেসের ছাদে শুইয়া পড়িল । সারাদিন বেড়াইয়া সে বড় ক্লান্ত হইয়া পড়িয়াছে। সে তো কলিকাতায় আসিয়াছে-মিউজিয়াম, গড়ের মাঠ দেখিতে পাইবে তো ?’, ‘বায়োস্কোপ দেখিবে,- “এখানে খুব বড় বায়োস্কোপ আছে সে জানে। তাহদের দেওয়ানপুরের স্কুলে একবার একটা ভ্ৰমণকারী বায়োস্কোপের দল গিয়াছিল, তাহাতেই সে জানে বায়োস্কোপ কি অদ্ভুত দেখিতে। তবে এখানে নাকি বায়োস্কোপে গল্পের বই দেখায়। সেখানে তাহা ছিল না— রেলগাড়ি দৌড়াইতেছে একটা লোক হাত পা নাড়িয়া মুখভঙ্গী করিয়া লোক হাসাইতেছে —এই সব। এখানে বায়োস্কোপে গল্পের বই দেখিতে চায়। অখিলবাবুকে জিজ্ঞাসা করিল, বায়োস্কোপ যেখানে হয়, এখান থেকে কত लू ? অখিলবাবুর মেসে খাইয়া অপু ইহার উহার পরামর্শমত নানাস্থানে হঁাটাহঁাটি করিতে লাগিল, কোথাও বা থাকিবার স্থানের জন্য, কোথাও বা ছেলে পড়াইবার সুবিধার জন্য, কাহারও কাছে বা কলেজে বিনা বেতনে ভর্তিত হইবার যোগাযোগের জন্য । এদিকে কলেজে ভর্তিত হইবার সময়ও চলিয়া যায়, সঙ্গে যে কয়টা টাকা ছিল তাহা পকেটে লইয়া একদিন সে ভর্তিত হইতে বাহির হইল । প্রেসিডেন্সী কলেজের দিকে সে ইচ্ছা করিয়া ঘেসিল না, সেখানে \ළුසු