পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DBS LggB BDBD gBD BBSS BDDBBD S BDBD S DDYYDDS আমরা ভাবছি ওটা উঠিয়ে দেবো, এস্টেট রিসিভারের হাতে যাচ্ছে, ও-সব আর সুবিধে হবে না । ফিরিবার সময় গেটের বাহিরে আসিয়া অপুর মনে বড় কষ্ট হইল। কখনও সে কাহারও নিকট কিছু চায় নাই, চাহিয়া বিমুখ হইবার দুঃখ। কখনও ভোগ করে নাই, চোখে তাহার প্রায় জল আসিল । পকেটে মাত্ৰ আন দুই পয়সা অবশিষ্ট আছে-এই বিশাল কলিকাতা শহরে তাহাই শেষ অবলম্বন । কাহাকেই বা সে এখানে চেনে, কাহার কাছে। যাইবে ? অখিলবাবুর মেসে দুই মাস সে প্ৰথম খাইয়াছে, সেখানে যাইতে লজা করে। সুরেশ্বরের নিজেরই চলে না ; তাহার উপর সে কখনও জুলুম করিতে পারিবে না । আর ও কয়েকদিন কাটিয়া গেল ! কোনদিন সুরেশ্বরের মেসে এক বেলা খাইয়া, কোনদিন বা জানকীর কাছে কাটাইয়া চলিতেছিল । একদিন সারাদিন না খাওয়ার পর সে নিরুপায় হইয়া অখিলবাবুর মেসে সন্ধ্যার পর গেল। অখিলবাবু অনেকদিন পর তাহাকে পাইয়া খুশী হইলেন। রাত্রে খাওয়া-দাওয়ার পর অনেকক্ষণ গল্প-গুজব করিলেন । বলি বলি করিয়াও অপু নিজের দুর্দশার কথা অখিলবাবুকে বলিতে পারিল না। তাহা হইলে হয়তো তিনি তাহাকে ছাড়িবেন না, সেখানে থাকিতে বাধ্য করিবেন। সে জুলুম করা হয় অনৰ্থক । কিন্তু এদিকে আর চলে না । এক জায়গায় বই, এক জায়গায় বিছানা । কোথায় কখন রাত কাটাইবে কিছু ঠিক নাই। ইহাতে পড়াশুনা হয় না। পরীক্ষাও নিকটবর্তী। না খাইয়াইবা কয় দিন চলে ! অখিলবাবুর মেস হইতে ফিরিবার পথে একটা খুব বড় বাড়ি। ফটকের কাছে মোটর গাড়ি দাড়াইয়া আছে । এই বাড়ির লোকে যদি ইচ্ছা করে তবে এখনি তাহার কলিকাতায় থাকার সকল ব্যবস্থা 8