পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যস্ত আছে, চমকিয়া পিছন দিকে চাহিয়া আনন্দ-মিশ্রিত সুরে বলে,-তুই!-যাওয়া হ’ল না ? অপু হাসিমুখে বলে,-গাড়ি পাওয়া গেল না-এসে বাড়ি বঁাশবনের ছায়ায় মায়ের মুখে সেদিন যে অপূৰ্ব আনন্দের ও তৃপ্তির ছাপ পড়িয়াছিল, অপু কোনও দিন তাহা দেখে নাই—বহুকাল পৰ্যন্ত মায়ের এ মুখখানা তাহার মনে ছিল। সেদিন রাত্রে দু’জনে নানা কথা । অপু আবার ছেলেবেলাকার গল্প শুনিতে চায় ম’ার মুখে-সর্বজয়া লজ্জিত সুরে বলে-হঁ্যা, আমার আবার গল্প। সে সব ছেলে-বয়েসের গল্প-তা বুঝি এখনো শুনে তোর ভাল লাগবে। অপুকে আর সর্বজয়া বুঝিতে পারে না—এ সে ছোট্ট অপু নয়, যে ঠোঁট ফুলাইলেই সর্বজয়া বুঝিত ছেলে কি চাহিতেছে-“এ কলেজের ছেলে, তরুণ অপু এর মন, মতিগতি, আশা আকাঙ্ক্ষা-সর্বজয়ার অভিজ্ঞতার বাহিরে-অপু বলে,-না। মা, তুমি সেই ছেলেবেলার শ্যামলঙ্কার গল্পটা করে । সর্বজয়ী বলে,-তা আবার কি শুনাবিতুই বরং তোর বইয়ের একটা গল্প বল—ক’ত ভালো গল্প তো পড়িস .. 63