পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলেছেন কঁথাখানা সরিয়ে রাখো মা-ও আমার অপুর জন্যে, বর্ষাকালে কলকাতা পাঠাতে হবে।--সেই পুরানো তুলোজমানো কালো কম্বলটা ছিল- ১ -সেইখানা গায়ে দিয়েছিলেন--তিনি আবার প্ৰাণ ধ’রে তোমার কঁথা নষ্ট করবেন ? -- তাই কাল যখন ওরা তাকে নিয়ে-থুয়ে গেল তখন ভাবলাম রুগীর বিছানায় তো ছিল কঁথাখানা, জলকাঢ়া ক’রে রোদে দিই। --কাল অ্যার পারি নি- আজ সকালে ধুয়ে আলনায় দিয়ে গেলাম।--তা এসো-আমাদের বাড়ি-ওসব শুনবে না-মুখ শুকনো-হবিষ্যি হয় নি ? এসো নিরুপমার আগে আগে সে কলের পুতুলের মত তাদের বাড়ি গেল । সরকার মহাশয় কাছে ডাকিয়া বসাইয়া অনেক সাস্তুনার কথা বলিলেন । নিরুদি কি করিয়া মুখ দেখিয়া বুঝিল খাওয়া হয় নাই ! নাদুও তো ছিল-কৈ কোনও কথা তো বলে নাই ? সন্ধ্যার পর নিরুপমা একখানা রেকবীতে আখ ও ফলমূল কাটিয়া আনিল। একটা কঁাসার বাটিতে কঁাচামুগের ডাল-ভিজা, কলা ও আখের গুড় নিয়া নিজে একসঙ্গে মাখিয়া আনিয়াছে । অপু কারুর হাতে চটকানো , জিনিস খায় না, ঘেন্না ঘেন্না করেপ্রথমটা মুখে তুলিতে একটুখানি গা-কেমন করিতেছিল। তারপর দুই-এক গ্ৰাস খাইয়া মনে হইল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক আস্বাদই তো ! • • •নিজের হাতে বা মায়ের হাতে মাখিলে যা হইত—তাই । পরদিন হবিস্থ্যির সময় নিরুপমা গোয়ালে সব যোগাড়যন্ত্র করিয়া অপুকে ডাক দিল। উনুনে ফু পাড়িয়া কাঠ ধরাইয়া দিল ফুটিয়া উঠিলে বলিল-এইবার নামিয়ে ফ্যালো, ভাই । অপু বলিল-আর একটু না-নিরুদি ? নিরুপমা বলিল-নামাও দেখি, ও হয়ে গিয়েছে। ডালবাটাটা জুড়োতে দাও সব মিটিয়া গেলে সে কলিকাতায় ফিরিবার উদ্যোগ করিল। সর্বজয়ার জাতিখানা, সর্বজয়ার হাতে সই-করা খানদুই মনিঅৰ্ডারের bR