পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চেহারা তাহার মনে ছিল না। এই সুন্দর বালকটিকে দেখিয়া সে যুগপৎ গ্ৰীতি ও বিস্মিত হইল—তাহার সেই তিন বছরের ছোট্ট খোকা এমন সুদৰ্শন লাবণ্যভরা বালকে পরিণত হইল কবে ? সে হাসিমুখে—বলিল—কি রে খোকা, চিনিতে পারিস?— কাজল ততক্ষণে আসিয়া অসীম নির্ভরতার সহিত তাহার কোমর জড়াইয়া ধরিয়াছে-ফুলের মত মুখটি উচু করিয়া হাসিভরা চোখে বাবার মুখের দিকে চাহিয়া বলিল—না বৈকি ? আমি বেড়ার ধার থেকে দেখেই ছুটুি দিইছি—এতদিন আসিনি। কে-কেন বাবা ? একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটিল। এতদিন তো ভুলিয়া ছিল, কিন্তু আজ এইমাত্ৰ-হঠাৎ দেখিবামাত্ৰই--অপুর বুকের মধ্যে একটা গভীর স্নেহসমুদ্র উদ্বেল হইয়া উঠিল। কি আশ্চৰ্য, এই ক্ষুদ্র বালকটি তাহারই ছেলে, জগতে নিতান্ত অসহায় হাত-পা হারা, অবোধ-জগতে সে ছাড়া ওর আর কেউ তো নাই! কি করিয়া এতদিন সে ভুলিয়া ছিল। ۔۔۔۔۔۔ কাজল বলিল-ব্যাগে কি বাবা ? --দেখবি ? চল দেখাব এখন । তোর জন্যে কেমন পিস্তল আছে, এক সঙ্গে দুম দুম আওয়াজ হয়, ছবির বই আছে দু’খানা । কেমন একটা রবারের বেলুন।-- --তো-তো-তোমাকে একটা কথা বলব বাবা ? তো-তোমাৰ কাছে একটা পাথরের গো-গেলাস আছে ? --পাথরের গেলাস ? কেন রে, পাথরের গেলাস কি হবে ? কাজল চুপি চুপি বাবাকে গেলাস ভাঙার কথা সব বলিল । বাবার কাছে কোন ভয় হয় না । অপু হাসিয়া ছেলের গায়ে হাত বুলাইয়া বলিল-আচ্ছা চল, কোন ভয় নেই। সঙ্গে সঙ্গে কাজলের সব ভয়টা কাটিয়া গেল, একজন অসীম শক্তিধর বীজপাণি দেবতা যেন হঠাৎ বাহুদ্বয় মেলিয়া তাহাকে অভয়দান করিয়াছে-মাভৈঃ।। DBL BDBDBD DBDDYLD DDDLDD DBBB DBB DBDS VA