পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিল। মনে হইল, মানুষ সব কালে, সব অবস্থায় এক, এক । কিংবা r-দেবতার মন্দির-দ্বারে আরোগ্যকামী বহু যাত্রী জড় হইয়াছে নানা দিকদেশ হইতে, ১ ছোট ছেলেটির গরীব বাবা তাহাকে আনিয়াছে। --ছেলেটি অসুখে ভোগে, রুগণ, স্বপ্নে দেবতা আসিয়া বলিলেন-যদি তোমার রোগ সারিয়ে দিই, আমায় কি দেবে ইউফেনিস ? উঃ, সত্যি ! অসুখ সারিলে সে বঁাচে ! ছেলেটি উৎসাহের সুরে বলিল-দশটা মার্বেল আমার আছে, সব কটাই দিয়ে দেব -- দেবতা খুশীর সুরে বলিলেন--স—ব ক-টা ! বলে কি ?-- বেশ বেশ, রোগ সরিয়ে দেব তোমার ! বাৎসল্যরসের এমন গভীর অনুভূতি জীবনে তাহার এই প্রথমস্ত্রীর গহনা বেচিয়া বই ছাপাইয়া ফেলিল পূজোর পরেই ! কেবল হার ছড়াটা বেচিতে পারিল না । অপর্ণার অন্যান্য গহনার অপেক্ষা সে এই হার ছড়াটার সঙ্গে খুব বেশী পরিচিত। তাই হারটা সামনে খুলিয়া খানিকক্ষণ ভাবিল, অপর্ণার সেই হাসি-হাসি মুখী-{ানা যেন ঝাপসা-মন্ত মনে পড়ে-প্রথমটাতে হঠাৎ যেন খুব সুস্পষ্ট মনে আসে-আধ সেকেণ্ড কি সিকি সেকেণ্ড মাত্র সময়ের জন্য।--তারপরই ঝাপসা হইয়া যায়। ঐ আধ সেকেণ্ডের জন্য মনে হয়, সে-ই সেরকম ঘাড় বঁাকাইয়া মুখে হাসি টিপিয়া সামনে দাড়াইয়া আছে । ছাপানো বই-এর প্রথম কপিখানা দপ্তরীর বাড়ি হইতে অনাইয়? দেখিয়া সে দুঃখ ভুলিয়া গেল । কিছু না, সব দুঃখ দূর হইবে । এই বই-এ সে নাম করিবে । আজ বিশ বৎসরের দূর জীবনের পার হইতে সে নিশ্চিন্দিপুরের পোড়ে ভিটাকে অভিনন্দন পাঠাইল মনে মনে। যেখানেই থাক, ভুলি নি। যাহাদের বেদনার রঙে তাহার বইখানা রঙীন, কত স্থানে, কত অবস্থায় তাহদের সঙ্গে পরিচয়, হয়ত কেউ বঁাচিয়া আছে, কেউ Vbs