পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্রের প্রথম । চাকুরি অনেক খুজিয়া মিলিল না। তবে আজকাল লিখিয়া কিছু আয় হয় । , সকালে একদিন অপু মেঝেতে মাদুর পাতিয়া বসিয়া বসিয়া কাজলকে পড়াইতেছে, একজন কুড়ি-বাইশ বছরের চোখে-চশমা ছেলে দোরের কাছে আসিয়া দাড়াইয়া বলিল-আজ্ঞে আসতে পারি ? আপনারই নাম অপূর্ববাবু? নমস্কার। —আসুন, বসুন বসুন। কোথেকে আসছেন ? --আজ্ঞে, আমি ইউনিভার্সিটিতে পড়ি। আপনার বই পড়ে আপনার সঙ্গে দেখা করতে এলুম। আমার অনেক বন্ধুবান্ধব সবাই এত মুগ্ধ হয়েছে, তাই আপনার ঠিকানা নিয়ে অপু খুব খুশী হইল-বই পড়িয়া এত ভাল লাগিয়াছে যে, বাড়ি খুজিয়া দেখা করিতে আসিয়াছে একজন শিক্ষিত তরুণ যুবক । এ তার জীবনে এই প্ৰথম । ছেলেটি চারিদিকে চাহিয়া বলিল-আজ্ঞে, ইয়ে, এই ঘরটাতে আপনি থাকেন বুঝি ? অপু একটু সঙ্কুচিত হইয়া পড়িল, ঘরের আসবাবপত্র অতি হীন, ছেড়া মাদুরে পিতাপুত্রে বসিয়া পড়িতেছে। খানিকটা আগে কাজল ও সে দু’জনে মুড়ি খুইয়াছে, মেঝের খানিকটাতে তাঁর চিহ্ন । সে ছেলের ঘাড়ে সব দোষটা চাপাইয়া দিয়া সলজ সুরে বলিলতুই এমন দুষ্ট হয়ে উঠছিস খোকা, রোজ রোজ তোকে বলি খেয়ে আমন করে ছড়াবিনে-ত তোর— আর বাটটা অমন দোরের গোড়ায় কাজল এ অকারণ তিরস্কারের হেতু না বুঝিয়া কঁাদ-কঁাদ মুখে বলিল -আমি কই বাবা, তুমিই তো বাটিটাতে মুড়ি -আচ্ছা, আচ্ছা, থাম, লেখ, বানানগুলো লিখে ফেল । যুবকটি বলিল-আমাদের মধ্যে আপনার বই নিয়ে খুব আলোচনা-আজ্ঞে হঁ্য । ওবেলা বাড়িতে থাকবেন ? “বিভােবরী’ কাগজের এডিটার শ্যামাচরণবাবু আপনার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন, আমি-আরও তিন-চার জন সেই সঙ্গে আসব -তিনটে ? আচ্ছা, তিনটোতেই ভাল। আরও খানিক কথাবার্তার পর যুবক brS অপরাজিত