পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক সার বঁাশগাছ, আর তালগাছ, এমন সময়ে চাঁদ উঠল, আলো আর ছায়ার কি খেলা ! দেখে আর চোখ ফেরাতে পারিনে! মনে 20, Ah this is the East . . .the eternal East, War দেখি নি কখনও। এ্যাশবার্টন তারপর বলিল,-শোন, আমি কাশী যাচ্ছি, তোমাকে না নিয়ে আমি যাব না। কিন্তু। আসছে হপ্তাতেই যাওয়া যাক চলো। কাশী ! সেখানে সে কেমন করিয়া যাইবে। কাশীর মাটিতে সে পা দিতে পরিবে না। শত-সহস্ৰ স্মৃতি-জড়ানো কাশী, জীবনের ভাণ্ডারের অক্ষয় সঞ্চয়-ও কি যখন তখন গিয়া নষ্ট করা যায়! ••• সেবার পশ্চিম যাইবার সময় মোগলসরাই দিয়া গেল, কাশী যাইবার অত ইচ্ছা সত্ত্বেও যাইতে পারিল না কেন ? -- কেন, তাহা অপরকে সে কি করিয়া বুঝায়!-- বন্ধু বলিল, তুমি জাভায় এসে না। আমার সঙ্গে ?-বারোবুন্দরের স্কেচ আঁকবাঁ, তা ছাড়া মাউন্ট শ্যালাকের বনে যাব । ওয়েস্ট জাভাতে বৃষ্টি কম বলে ট্রপিক্যাল ফরেস্ট তত জমকালো নয়, কিন্তু ইস্ট জাভার বন দেখলে তুমি মুগ্ধ হবে, তুমি তো বন ভালবাস, এস না।-- কাশী হইতে ফিরিবার সপ্তাহ খানেকের মধ্যে অপু ‘বিভােবরী’ ও “বঙ্গ সুহৃদ” দু’খানা পত্রিকার তরফ হইতে উপন্যাস লিখিতে অনুরুদ্ধ হইয়াছিল। দু’খানাই প্ৰসিদ্ধ মাসিক পত্ৰ, দু’খানারই গ্ৰাহক সারা বাংলা জুড়িয়া এবং পৃথিবীর যেখানে যেখানে বাঙালী আছে, সর্বত্ৰ । “বিভােবরী’ তাহাকে সম্প্রতি আগাম কিছু টাকা দিল-“বঙ্গ সুহৃং’- এর নিজেদের বড় প্রেস আছে—তাহারা নিজের খরচে অপুর একখানা ছোট গল্পের বই ছাপাইতে রাজী হইল। অপুর বইখানির বিক্রয়ও হঠাৎ বাড়িয়া গেল, আগে যে সব দোকানে তাহাকে পুছিতও না—সে সব দোকান হইতে বই চাহিয়া পাঠাইতে লাগিল। এই সময়ে একটি বিখ্যাত পুস্তক-প্ৰকাশক ফার্মের নিকট হইতে একখানা পত্র পাইল, অপু যেন একবার গিয়া দেখা করে। br8