পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেলাকার রামনবমী দিনের পুলক মুহুর্তগুলি ভরাইয়া দুপুরে কুকু ডাক দিত, কচিপাতা-ওঠা বঁাশবনে তাদের ছেলেমেয়েরা আবার Cऊभनि १iशू । শুধু তাহার দিদি শুইয়া আছে। রায়পাড়ার ঘাটের ওধারে ওই প্ৰাচীন ছাতিম গাছটার তলায় তাহদের গ্রামের শ্মশান, সেখানে । সে-দিদির বয়স আর বাড়ে নাই, মুখের তারুণ্য বিলুপ্ত হয় নাই-তার কাচের চুড়ি, নাটাফলের পুটুলি অক্ষয় হইয়া আছে এখনও । প্ৰাণের গোপন অন্তরে যেখানে অপুর শৈশবকালের কঁচা শিশুমনটি প্রবৃদ্ধ জীবনের শত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, উচ্চাশা ও কর্মস্তুপের নিচে চাপা। পড়িয়া মরিয়া আছে-সেখানে সে চিরাবালিকা, শৈশব জীবনের সে সমাধিতে জনহীন অন্ধকার রাত্রে সে-ই আসিয়া নীরবে চোখের জল ফেলে-শিশু প্ৰাণের সার্থীকে আবার খুজিয়া ফেরে। আজি চব্বিশ বৎসর ধরিয়া সঁাঝ-সকালে তার আশ্ৰয়স্থানটিতে সোনার সূৰ্যকিরণ পড়ে । বর্ষাকালের নিশীথে মেঘ ঝর ঝার জল ঢালে, ফাগুন দিনে ঘেটু ফুল, হেমন্ত দিনে ছাতিম ফুল ফোটে। জ্যোৎস্না উঠে । কত পাখি গান গায়। সে এ সবই ভালবাসিত । এ সব ছাড়িয়া যাইতে পারে নাই কোথাও । অপু তাহদের ঘাটের ধারে, আসিল। ওইখানটিতে এমন এক সন্ধ্যার অন্ধকারে বনদেবী বিশালাক্ষী স্বরূপ চক্রবর্তীকে দেখা शिांछ्:िलन कङकांठा आणी ! আজ যদি আবার তাহাকে দেখা দেন । --তুমি কে ?-আমি অপু। --তুমি বড় ভাল ছেলে । তুমি কি বর চাও ? —অন্য কিছুই চাইনে, এ গায়ের বনঝোপ, নদী, মাঠ, বঁাশবাগানের ছায়ায় অবোধ, উদগ্রীব, স্বপ্নময় আমার সেই যে দশ বৎসর বয়সের শৈশবটি-তাকে আর একটিবার ফিরিয়ে দেবে দেবী ?-- “You enter it by the Ancient way Through Ivory Gate and Golden". SR