পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১০০

, е в ছোটদের মহাভারত এতক্ষণে উত্তরের সকল সন্দেহ দূর হইল। তিনি বার বার অর্জনের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করিলেন। তার পর মহ। উৎসাহে অশ্বের লাগাম ধরিয়া বসিলেন । দেখিতে দেখিতে রথ কৌরব-সৈন্যের নিকটস্থ হইল। অৰ্জ্জুন দেখিলেন, সৈন্তের দল চারিভাগে বিভক্ত ; একভাগ দুৰ্য্যোধনকে লইয়া ব্যস্ত আছে, একভাগ গাভীগুলিকে বেষ্টন করিয়াআছে, আর বাকি দুইভাগ ভীষ্ম, দ্রোণ কৃপ প্রভৃতির অধীনে থাকিয়া সম্মুখ দিকে অগ্রসর হইতেছে। বহুকাল পরে পিতামহ ভীষ্ম এবং অস্ত্র গুরু দ্রোণকে দেখিয়া অৰ্জ্জুনের হৃদয় ভক্তি ও শ্রদ্ধাতে পূর্ণ হইল । তিনি কয়েকটি বাণে র্তাহীদের চরণবন্দন এবং আর কয়েকটি দ্বারা কুশল জিজ্ঞাসা করিয়া, গাণ্ডীবের টঙ্কার ও দেবদত্ত বিশাল শঙ্খে ফু দিলেন। অমনি ভয়ে সকলে কঁপিয়া উঠিল। তার পর ভীষণ যুদ্ধ আরম্ভ হইল। একদিকে এক অৰ্জ্জুন, অপরদিকে অগণ্য কৌরব-সৈন্য আর ভীষ্ম, দ্রোণ, কৃপ, কর্ণ, অশ্বথামা প্রভূতি বড় বড় যোদ্ধা । কিন্তু তাহ হইলে কি হয়, অৰ্জ্জুন যে দেব বলে বলী ! কাহার সাধ্য র্তাহার অঙ্গে প্রহার করে । এদিকে অৰ্জ্জুনের বাণে রণস্থলে আগুন ছুটিতে লাগিল। শত সহস্র সৈন্য প্রাণ ত্যাগ করিল। বড় বড় রখীর পর্য্যন্ত ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন । যতক্ষণ অর্জুন দূরে ছিলেন, কর্ণের গর্বের্বর সীমা ছিল না । এখন তাহার এমন দশা হইল যে, রুপু কষেরা স্যায় রণস্থল: