পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিরাটপৰ্ব্ব * * * হইতে পলায়ন করিতেও তিনি লজ্জাবোধ করিলেন না । কর্ণ পলাইলে কৃপ আসিলেন । কৃপের ' পর দ্রোণাচার্য ও অশ্বথামা আসিলেন, কিন্তু কাহারও এমন শক্তি হইল না যে, অৰ্জ্জুনকে পরাস্ত করেন । বরং অর্জনের হস্তে পড়িয়া র্তাহারাই চারিদিক অন্ধকার দেখিতে লাগিলেন । দুৰ্য্যোধনের কথা আর কি বলিব । অৰ্জ্জুন দয়া করিয়। ছাড়িয়া না দিলে, সেই দিনই র্তাহার যুদ্ধের সাধ মিটিয়৷ যাইত ! দুৰ্য্যোধনের অবস্থা দেখিয়া কৰ্ণ আবার আসিলেন, রক্তাক্ত দেহে আবার তাহাকে পলাইতে হুইল । অন্যের কথ। কি, ভীষ্ম যে এত বড় বীর, তিনিও অর্জনের সম্মুখে তিষ্ঠিতে পারিলেন না। শেষে সকলে মিলিয়া চারিদিক হইতে আক্রমণ করিয়াও কোনই ফল হইল না । ব্যাপার দেখিয়া শত্ৰু-মিত্ৰ সকলেই অবাক ! কৃপ বলিলেন, “দ্রোণ, আর যুদ্ধে প্রয়োজন নাই, এখন যে যাহাৰ প্রাণ রক্ষার উপায় কর ।” এদিকে অৰ্জ্জুন ভাবিলেন, ‘যে জন্য যুদ্ধের আয়োজন, বিপাকে পড়িয়া কৌরবেরা সেই গাভীগুলি ছাড়িয়া দিয়াছে । এখন বৃথা আর আত্মীয়-স্বজনকে বধ করিয়া কি লাভ ? এই ভাবিয়া তিনি "সম্মোহন’ আস্ত্রে সকলকে অজ্ঞান করিয়া ফেলিলেন । তার পর উত্তরকে বলিলেন, “এইবার তোমার ভগিনীর জন্য দ্রোণ, কর্ণ, দুৰ্য্যোধন প্রভূতির পোষাক লইয়। এস। কিন্তু সাবধান, ভীষ্মের নিকট যাইও না ।”