পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*) У о ছোটদের মহাভারত শল্য বলিলেন, “সে কথা বলাই বাহুল্য। তোমাদের যাহাতে উপকার হয়, আমি যথাসাধ্য সেই চেষ্টাই করিব।” শল্যকে নিজের দলে আনিতে পারিয়া দুৰ্য্যোধনের উৎসাহ খুব বাড়িয়া গেল । এইবার শ্ৰীকৃষ্ণকে হাত করিতে পরিলেই তাহার সাধ মিটে । তাহা হইলে আর যুদ্ধের এত শত আয়োজনের কোন প্রয়োজনই থাকে না । মনে মনে এই ফন্দী অঁাটিয়া দুর্য্যোধন ত চুপি চুপি রওনা হইলেন । কিন্তু হায়, অৰ্জ্জুন তাহার সকল সাধেই বাদ সাধিলেন। দুৰ্য্যোধন দ্বারকায় পহুছিতে না পহুছিতে অর্জনও সেখানে গিয়া উপস্থিত । কৃষ্ণ তখন ঘুমাইতেছিলেন । সুতরাং উভয়কেই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিতে হইল। দুৰ্য্যোধনের মান-মৰ্য্যাদা বেশী, তাই তিনি বসিলেন কৃষ্ণের মাথার কাছে আর অর্জন বসিলেন র্তাহার পায়ের দিকে । ঘুম ভাঙ্গিলে কৃষ্ণের চক্ষু অগ্রে অর্জনের উপরেই পড়িল, তার পর অবশ্য তিনি দুর্য্যোধনকেও দেখিতে পাইলেন । হঠাৎ এ ভাবে দেখা দিবার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে, দুৰ্য্যোধন বলিলেন, “যুদ্ধে আমার দলে যোগ দিবার জন্য আপনাকে বরণ করিতে আসিয়াছি । কৌরব ও পাণ্ডবদিগের সহিত আপনার একই সম্বন্ধ, কিন্তু আমি আগে আসিয়াছি, সেই জনা আমার দলেই যোগ দেওয়া আপনার উচিত।” কৃষ্ণ বললেন, “তুমি অগ্ৰে আসিলেও আমি অর্জনকেই