পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদ্যোগপৰ্ব্ব לצמי অগ্ৰে দেখিয়াছি। যাহা হউক, সামি তোমাদের দুই জনকেই সাহায্য করিব। একদিকে আমার দশ কোটি নারায়ণী-সেনা থাকিবে, অপরপক্ষে আমি নিজে যোগ দিব, কিন্তু অস্ত্রও ধরিব না, যুদ্ধও করিব না। এখন তোমাদের মধ্যে যাহার যাহা ইচ্ছ, লইতে পার। অর্জন বয়সে ছোট সেই জন্য তাহার প্রার্থনা অগ্রে পূর্ণ করিব।” এ কথায় অর্জন বলিলেন, “আমি সৈন্য চাহি না, তোমাকেই চাই ।” শ্ৰীকৃষ্ণ বলিলেন, “তথাস্তু।” দুৰ্য্যোধন ভাবিলেন, "ভালই হইল। দশ কোটি নারায়ণীসেনা পাইলে আমার অনেক লাভ । শ্ৰীকৃষ্ণের প্রস্তাবে উভয়েই সন্তুষ্ট হইয়া গৃহে ফিরিলেন। ক্রমে ক্রমে দ্রুপদ, বিরাট, জরাসন্ধের পুল জয়ৎসেন, শিশুপালের পুত্র ধৃষ্টকেতু, যদুবংশের অসাধারণ যোদ্ধা সত্যিকি, মহাবীর পাণ্ড্য প্রভূতি বহু নরপতি অসংখ্য সৈন্যসহ আসিয়া পাণ্ডবপক্ষে যোগ দিলেন। আর স্বয়ং শ্ৰীকৃষ্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে অৰ্জ্জুনের রথের সারথির পদ গ্রহণ করিতে স্বীকৃত হইলেন । ইহার উপর আবার ভীমের পুত্র ঘটোৎকচ দুই কোটি রাক্ষস যেন প্রস্তুত করিয়া রাখিল । আর কৌরবপক্ষে চন্দ্রবংশের ভূরিশ্রব, কামরূপের ভগদত্ত, যদুবংশের কৃতবৰ্ম্ম, সিন্ধুরাজ জয়দ্ৰথ, মদ্ররাজ শল্য, কাম্বোজরাজ স্থদক্ষিণ প্রভূতি মহারথগণ সসৈন্য আসিয়া যোগদান করিলেন ।