পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SY 8 ছোটদের মহাভারত বিরাটের গাভী হরণ করিতে গিয়া অৰ্জ্জুনের হস্তে আমাদের সকলকে—বিশেষতঃ কর্ণকে—যে কি পৰ্য্যন্ত নাকাল হইতে হুইয়াছিল, তাহ কি তোমার মনে নাই ? তাই বলি, এখনও পরিণাম চিন্তা করিয়া সুপথ অবলম্বন কর । পাণ্ডবদের স্যায্য প্রাপ্য ফিরাইয়া দিয়া ভাই ভাই এক হইয় যাও।” দ্রোণ, কৃপ, বিস্তুর প্রভৃতি গুরুজনেরাও দুর্য্যোধনকে বার বার বুঝাইতে লাগিলেন, কিন্তু তিনি কাহারও কথা গ্রাহ করিলেন না। ইহার পর স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ সন্ধির প্রস্তাব লইয়া কৌরব সভায় উপস্থিত হইলেন এবং দুৰ্য্যোধনকে নানাভাবে বুঝাইতে চেষ্টা করিলেন। কৃষ্ণ বলিলেন, “আমি দিব্যচক্ষে দেখিতেছি, এ যুদ্ধের ফল বড়ই ভীষণ । কুরুবংশ যাহাতে রক্ষা পায়, এখনও তাহার উপায় কর । অৰ্দ্ধরাজ্য ন দাও, পাঁচ ভাইকে সামান্ত পাঁচখানি গ্রাম ছাড়িয়া দাও । পাণ্ডবেরা তাহাতেই সস্তুষ্ট হইবেন ।” শ্ৰীকৃষ্ণের কথায় দুৰ্য্যোধন পদ্ধ করিয়া বলিলেন, “বিনা যুদ্ধে আমি সূচ্যগ্র পরিমাণ স্থানও ছাড়িব না।” ইহ শুনিয়া ভয়ে ধৃতরাষ্ট্রের আপাদমস্তক কঁাপিতে লাগিল । নিতান্ত নিরুপায় হইয়। তিনি অন্তঃপুর হইতে গান্ধারীকে আনাইলেন । কিন্তু হায়, মাতার সহস্ৰ কাতর অনুনয়েও দুৰ্য্যোধন কর্ণপাত করিলেন না। র্তাহার চক্ষের জলেও কু-পুত্রের কঠিন হৃদয় বিগলিত হইল না !