পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদ্যোগপৰ্ব্ব ১১৫ পিতা, মাতা প্রভৃতি গুরুজন, এমন কি শ্রীকৃষ্ণের প্রতিও অবজ্ঞার ভাব দেখাইয়া দুৰ্য্যোধন সভাগৃহ পরিত্যাগ করিলেন এবং কর্ণ, শকুনি প্রভৃতি দুষ্টজনের সহিত মিলিয়া কৃষ্ণকে বন্দী করিবার পরামর্শ করিতে লাগিলেন । এ কথা জানিতে পারিয়া ভীষ্ম অগ্নিমূৰ্ত্তি ধারণ করিলেন । তিনি ধৃতরাষ্ট্রকে বলিলেন, “তোমার পুত্রের নিতান্তই মতিভ্রম ঘটিয়াছে । সে যদি কৃষ্ণের প্রতি কোনরূপ অসম্মান দেখায় অথবা অত্যাচার করে, তবে জানিও, পৃথিবীর সকল শক্তি মিলিত হইলেও তাহাকে রক্ষা করিতে পরিবে না !” শ্ৰীকৃষ্ণ তখন বলিলেন, “আমার জন্য আপনার ব্যস্ত হইবেন না । কুরুসভায় উপস্থিত হইয়া দুৰ্য্যোধনের ব্যবহারে আমি অবাক হইয়াছি । এই দুষ্টকে শাসন করা যদি আপনাদের পক্ষে অসম্ভব হয়, তবে বলুন, আমি ইহাকে বন্ধন করিয়া যুধিষ্ঠিরের হস্তে সমর্পণ করি । তদ্ভিন্ন কুরুকুল রক্ষার অণর উপায় নাই ।” কৃষ্ণের এই সঙ্গত প্রস্তাব ভীষ্ম, দ্রোণ, বিদুর সকলেই অনুমোদন করিলেন, কিন্তু ধৃতরাষ্ট্র চুপ করিয়া রহিলেন । ইহাতে শ্ৰীকৃষ্ণ নিতান্ত দুঃখিত হইয়। বলিলেন, “মরণকালে লোকের বিপরীত বুদ্ধিই হইয়া থাকে। যাহা হউক, আর এখানে বসিয়া সময় নষ্ট করা বৃথা। আমি যুধিষ্ঠিরের নিকট চলিলাম।” সভা পরিত্যাগ করিবার পূর্বে কৃষ্ণ এমন ভয়ঙ্কর মূৰ্ত্তি