পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* >や ছোটদের মহাভারত ধারণ করিলেন যে, ভয়ে, সকলে 'ত্ৰাহি ত্ৰাহি ডাক ছড়িতে লাগিল । দুৰ্য্যোধনেয় এমন সাহস হইল না যে, তাহার নিকট আসেন। ইহার পর শ্ৰীকৃষ্ণ কুন্তীদেবীর সহিত দেখা করিয়৷ বলিলেন, “পিসিম, সন্ধি-স্থাপনের সকল চেষ্টাই ব্যর্থ হইয়াছে, এখন যুধিষ্ঠিরকে আপনি কি উপদেশ দিতে চান, তাহ জানিতে ইচছা করি।” কুন্তী বলিলেন, “বৎস আমি ক্ষত্ৰিয়-রমণী ! সুতরাং উপদেশ যাহা দিব, তাহা কি আর বলিতে হুইবে ! আমার সন্তানগণ বনে বনে বিতাড়িত হইয়া ঘৃণিত জীবন যাপন করিতেছে, ইহা ইহা অার সহ্য হয় না । তের বৎসর অতীত হইয়াছে ; তাহাদিগকে বলিবে, ইন্দ্রপ্রস্থের সুখের দিনের কথা স্মরণ করিয়া, সভামাঝে দ্রৌপদীর নিগ্রহের কথা স্মরণ করিয়া, সকলেরই যেন ক্ষত্রিয়-তেজ উদ্দীপ্ত হইয় উঠে এবং অতুল বিক্রমে অধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করে । সেই যুদ্ধে যদি কাহারও প্রাণ যায়, তাহাতেও আমি বিন্দুমাত্র দুঃখিত হইব না। কিন্তু আমি জানি, ভগবানের আশীর্ববাদে আমার পুত্ৰগণ শকত শরীরেই জয় লাভ করবে।” কুন্তাদেবীর এই উৎসাহবাক্যে কৃষ্ণের হৃদয় গর্ণেব ভরিয়া গেল । হস্তিন হইতে ফিরিবার পূর্বে শ্ৰীকৃষ্ণ কর্ণকে ডাকিয়৷ পাণ্ডবদের সহিত র্তাহার কি সম্পর্ক, তাহা বুঝাইয়া দিলেন এবং ভাইদের সহিত মিলিত হইয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ