পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদ্যোগপৰ্ব্ব >> বিবেচনার পর শেষে তাহার কৌরবপক্ষে যোগ দেওয়াই সঙ্গত মনে করিলেন । р ভীষ্মকে স্বপক্ষে পাইয়া দুৰ্য্যোধন উৎসাহে মাতিয়া উঠিলেন । নিজে ইচ্ছা করিয়া না মরিলে যাহার মৃত্যু নাই, এমন বীর সহায় থাকিতে আর কাহীকে ভয় ? দুৰ্য্যোধন তাহাকে সেনাপতিত্বে বরণ করিলেন। তখন ভীষ্ম বলিলেন, “যে কয়দিন বাচিয়া থাকি, আমি তোমার পক্ষ হইয়াই যুদ্ধ করিব । কিন্তু যাহার কুপরামর্শে তুমি সর্ববস্ব হারাইতে বসিয়াছ, মহারথগণের মধ্যে যাহাকে আমি অৰ্দ্ধরথ ভিন্ন আর কিছুই মনে করি না, সেই কর্ণের সহিত একত্র যুদ্ধ করা আমার পক্ষে অসম্ভব ।” এ কথা শুনিয়া কৰ্ণ বলিলেন, “পিতামহ ভীষ্ম বঁচিয়৷ থাকিতে এ যুদ্ধে আমি অস্ত্র ধরিব না।” কৰ্ণ চলিয়া গেলে ভীষ্ম বললেন, “আমার কাছে কেরবে ও পাণ্ডবে কোনই প্রভেদ নাই। তোমবাও যেমন আমার স্নেহের পাত্র, তাহারাও ঠিক তেমনি । সেই জন্য যুধিষ্ঠির প্রভৃতি পাচ ভাইকেও আমি বধ করিতে পারিব না। আর শিখণ্ডীর দেহে অস্ত্রপ্রহার করাও আমার পক্ষে সম্ভব নহে । কারণ, আমি জানি, পূৰ্ব্বজন্মে সে স্ত্রীলোক ছিল। এই ছয় জন ভিন্ন পাণ্ডবপক্ষের রথী, মহারথ কাহাকেও আমি সহজে ছাড়িব না। আমি প্রতিজ্ঞা করিতেছি, প্রত্যহ ভাহীদের অনূ্যন দশ হাজার সৈন্য যমালয়ে পাঠাইব ।”