পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》 8 ছোটদের মহাভারত না। আমি বরং শক্রহস্তে প্রাণ দিব তথাপি যুদ্ধ করিতে পারিব না।” সে দিন অৰ্জ্জুনকে বুঝাইয়া, তিনি যুদ্ধ করিবেন স্বীকার করাইতে কৃষ্ণকে কি কম কষ্ট পাইতে হইয়াছিল যাহা হউক, শ্ৰীকৃষ্ণের উপদেশক্রমে অর্জনের মন উৎসাহে পূর্ণ হইয়া উঠিল । তিনি গাণ্ডীব লইয়া প্রস্তুত হইলেন । সেই সকল অমূল্য উপদেশ তোমরা বড় হইয়া ভগবদগীতা’য় দেখিতে পাইবে । অর্জন ত প্রস্তুত হইলেন, এদিকে আবার যুধিষ্ঠিরকে লইয়া বেশ একটু গোলযোগ বাধিল । যুদ্ধ আরম্ভ হয় হয়, এ সময় কোথায় তিনি সকলকে উৎসাহ দিবেন, না, নিজেই রথ হইতে নামিয়া বরাবর কৌরব-ব্যুহের দিকে চলিলেন । কি সৰ্ব্বনাশ ! ভয়ে ভীম, অর্জন, নকুল, সহদেবের মুখ শুকাইয়া গেল । তাহারা ব্যস্ত হইয়া যুধিষ্ঠিরের পিছন পিছন ছুটিলেন, কিন্তু তিনি একটি কথাও বলিলেন না । এই ব্যাপারে কৌরবপক্ষের লোকেরাও খুব আশ্চৰ্য্য হুইয়। গেল। তাহাদের কেহ কেহ তাহাকে কাপুরুষ বলিয়া ধিক্কার দিতেও ক্রটি ফরিল না। আবার কেহ কেহ এমন কথাও বলিল যে, যুধিষ্ঠির প্রাণের ভয়ে ভীষ্মের পায়ে ধরিয়া ক্ষমা চাহিতে যাইতেছেন । তখন শ্ৰীকৃষ্ণ পাণ্ডবদিগকে সাহস দিয়া বলিলেন, “তোমাদের ভয়ের কোনই কারণ নাই । যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইবার পূর্বে