পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভীষ্মপৰ্ব্ব ר בכו গেল। পথ, ঘাট, মাঠ ভরিয়া মৃতদেহের পাহাড় গড়িয়া উঠিল। তথাপি শেয নাই। সেই ভীষণ যুদ্ধ দেখিয়৷ দেবতারা পৰ্য্যন্ত স্তম্ভিত হইয়া গেলেন। কিন্তু উভয়ের এমনই আশ্চর্ঘ্য শিক্ষা যে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা যুদ্ধ করিয়াও কেহ কাহাকে হটাইতে পারিলেন না । অৰ্জ্জুনের পুত্র অভিমনু্যও সেদিন এমন ভয়ঙ্কর যুদ্ধ করিলেন যে, বড় বড় মহারথগণও র্তাহাকে ধন্য ধন্য করিতে লাগিলেন । যুদ্ধের এই প্রথম দিনেই বিরাটপুত্র উত্তর শল্যের হাতে মারা পড়িলেন । কিন্তু উত্তরের দাদ। শ্বেত যখন রুখিয়া আসিলেন, তখন শল্য একেবারে কাবু ! ভীষ্ম তাড়াতাড়ি ছুটিয়া না আসিলে শল্যের প্রাণরক্ষাই কঠিন হইয়া উঠিত । এমন কি, শ্বেতের বাণে মাঝে মাঝে ভীষ্মকেও নাকালের একশেষ হইতে হইল । যাহা হউক, শেষে ভীষ্মের হাতেই র্তাহার মৃত্যু হইল। ইহাতে পাণ্ডবদের দুঃখের অবধি রহিল না। কৃষ্ণ নানাপ্রকারে বুঝাইয় তাহাদিগকে শান্ত করিলেন । ক্রমে সন্ধ্যা হইয়া আসিলে সেদিনকার মত যুদ্ধ শেষ হইল । পরদিন পাণ্ডব সেনাপতি ধৃষ্টদ্যুম্ন ক্ৰৌঞ্চারুণ-ব্যুহ রচনা করিয়া সৈন্য সাজাইলেন ! কৌরবের অন্য একপ্রকার ব্যুহ প্রস্তুত করিলে দুই দলে আবার তুমুল যুদ্ধ আরম্ভ হইল । ভীষ্ম ও অর্জনের আর কি নূতন পরিচয় দিব ! তাহদের বাণের শব্দেই যেন ভূমিকম্প হইতে লাগিল ; আর বাণের