পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভীষ্মপবর תא כ তাড়াতাড়ি শিঙ্গা বাজাইয় সেদিনের মত যুদ্ধ বন্ধ করিয়া দিলেন। কৌরব-সৈন্য শিবিরে ফিরিয়া ইপি ছাড়িয়া বঁচিল । পরদিন ভীষ্ম গরুড় বুহি এবং অর্জুন ‘অৰ্দ্ধচন্দ্র’-ব্যুহ করিয়া সৈন্য লা জাইলেন । পূর্বদিন অৰ্জ্জুন যাহা করিয়াছেন, ভীষ্ম তাই ভুলেন নাই । ইহার উপর ভীম ও খণ্ঠেনের ভয়ে দুৰ্য্যোধন রাত্ৰে ভঁtহার নিকট আসিয়া অনেক কান্নাকাটি করিয়াছেন । এই দুই উত্তেজনায় ভীষ্ম সাজ এমন তেজের সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিলেন যে, অৰ্জ্জুশের ও মাথ৷ ঘুরিয়া গেল । প্রতি মূহুৰ্বে ভীষ্মের বাণে শত শত পাণ্ডবসৈন্য মারা পড়িতেছে, অথচ অর্জুন কোন প্রকারেই তাহ। নিবারণ করিতে পারিতেছেন না । কৃষ্ণ কভ উৎসাহ দিলেন, কিন্তু আজ যেন অন্তর্জুনের সে তেজই নাই । ‘হয়’ ‘হায়' করিতে করিতে সকলে ছুটাছুটি করিতে লাগিল ! শ্ৰীকৃষ্ণ আর স্থির থাকিতে পারিলেন না ; অন্য উপায় ন৷ দেখিয়া নিজের সুদর্শন চক্র লইয়া ভীষ্মকে মারিবার জন্য ছুটিলেন । তাহার পায়ের দাপে পৃথিবী কঁপিয়া উঠিল । ভয়ে কৌরবদের হাতের অস্ত্র মাটিতে পড়িয়া গেল। ভীষ্মের কিন্তু ভয়ের লেশমাত্র নাই । ‘কৃষ্ণের স্থাতে মর, এ ত পরম সৌভাগ্যের কথা !" এই ভাবিয়া ভীষ্ম অস্ত্র ফেলিয়া তাহীর স্তব আরম্ভ করিয়া দিলেন । এদিকে অর্জুন যখন দেখিলেন, তাহারই দোষে কৃষ্ণকে