পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভীষ্মপৰ্ব্ব 匣 )○○ জারিজুরি ফুরাইল । ভীষ্ম তাড়াতাড়ি যুদ্ধ থামাইয়া ন দিলে সেদিন রক্ষিসের হাতেই তাহার প্রাণ যাইত । পরদিন পাণ্ডবেরা ‘শ্বেন-ব্যুহ এবং কৌরবেরা ‘মকর ব্যুহ রচনা করিয়া সৈন্য সাজাইলেন। তার পর দুই দলে যুদ্ধ আরস্ত হইলে, শিখণ্ডী আসিয়া বাণে বাণে ভীষ্মকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিলেন । কিন্তু ভীষ্ম যেন তাহাকে দেখিয়াও দেখিলেন না । ইহাতে শিখণ্ডীর উৎসাহ আরও বাড়িয়া গেল। হঠাৎ দ্রোণ সেখানে আসিয়া পড়িয়াছিলেন, তাই রক্ষা । নচেৎ ভীষ্মকে হয় ত আরো কত প্রহার সহ্য করিতে হইত ! দ্রোণকে দেখিয়া শিখণ্ডী এমন চম্পট দিলেন যে, র্তাহাকে খুজিয়া পাওয়াই ভার ! সেদিন সাত্যকি আর দ্রোণেও ভয়ানক যুদ্ধ হইল । সাত্যকিকে হটিতে দেখিয়া ভীম, অভিমনু এবং দ্রৌপদীর পাচ পুত্র ( প্রতিবিন্ধ্য, সুতসোম, শ্ৰুতকৰ্ম্ম, শতানিক আর শ্রতসেন ) আসিয়া তাহার সহিত যোগ দিলেন। ওদিকে ভীষ্ম আর শল্য আসিয়া দ্ৰোণকে সাহায্য করিতে লাগিলেন। তখন রণস্থলে তুমুল কাণ্ড বাধিয়া গেল ! দুই পক্ষের অসুখ্য সৈন্য প্রাণ হারাইল। এক সাত্যকিই প্রায় দশ হাজার কৌরব সেনা মারিয়া শেষ করিলেন । কৌরবপক্ষে ভূরিশ্রবও বড় কম যুদ্ধ করেন নাই । সেই একদিনে তিনি সাত্যকির দশ পুত্রকে যমালয়ে পাঠাইয়াছেন শুনিয়া অর্জন এমন ক্ষেপিয়া উঠিলেন যে,