পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভীষ্মপৰ্ব্ব Ꮌ Ꮼ☾ অর্জনের পুত্র ইরাবাণও সেদিন অতি আশ্চর্ঘ্য যুদ্ধ করিয়াছিলেন । বিন্দু, অনুবিন্দের মত বিখ্যাত যোদ্ধারাও তাহার অস্ত্রের তেজ সহ্য করিতে পারে নাই । তাহারা পলায়ন করিলে, ইরাবণ কৌরবসৈন্য পিষিতে পিসিতে রণস্থলে রক্তস্রোত বহাইয়া দিলেন । ইহাতে কৌরবেরা খুবই ভযু পাইল । যাহা হউক, শেষে বিরাটপুল শঙ্খকে মারিয়া দ্রোণ তাহাদের সকলকে উত্তেজিত করিয়া তুলিলেন। শঙ্খের মৃত্যুতে। পাণ্ডবদের দুঃখের সীমা রছিল না ! পরদিন পাণ্ডবেরা ‘শৃঙ্গাটক’-ব্যুহ এবং কৌরবের সাগরের মত এক প্রকাণ্ড ব্যুহ প্রস্তুত করিলেন । তার পর ভীষ্ম আর ভীমে বিযম যুদ্ধ বাধিয়া গেল । এ কয়দিন এক অৰ্জ্জুন ছাড়া আর কেহই ভীষ্মের সম্মুখে দাড়াইতে সাহস করেন নাই, কিন্তু আজ ভীমের প্রতাপে ভীষ্মকেও একটু দমিতে হইল। ভূর্য্যোধনের আটটি ভাই তাহার সাহায্যের জন্য আসিলে, ভীম একে একে তাহীদের সবগুলিকে শেষ করিয়া আগুনের মত এক ভয়ানক বাণে ভীষ্মের সারথিকে বিনাশ করিলেন । ভয়ে ঘোড়াগুলি রথ লইয়া চারিদিকে ছুটাছুটি করিতে লাগিল ! সেদিন ইরাবাণও খুব তেজের সহিত যুদ্ধ আরম্ভ করিয়া ছিলেন, কিন্তু শকুনির ছয় ভাইকে মারিবার পরই আর্যশৃঙ্গ নামে এক মায়াবী রাক্ষসের হস্তে তিনি নিহত হইলেন । অর্জন তখন কৌরবসৈন্য মারিতে ব্যস্ত । পুত্রের মৃত্যুর কথা র্তাহার কাণেও পহুছিল না ।