পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*)* ছোটদের মহাভারত স্থল ঠিক অগ্নিকুণ্ডে পরিণত করিলেন । তখন অর্জনেরও এমন সাধ্য হইল না যে, তাহাকে নিবারণ করেন। পাণ্ডবসৈন্য ভয়ে চীৎকার করিতে করিতে অস্ত্র ফেলিয়া ব্যুহ ভাঙ্গিয় পলাইতে চেষ্টা করিল, কিন্তু ভীষ্মের অস্ত্র এড়াইয়া একটি প্রাণীও রক্ষা পাইল না। " ব্যাপার দেখিয়া কৃষ্ণ ও বিচলিত হইলেন । নিজের প্রতিজ্ঞা ভুলিয়া আবার তিনি ভীষ্মকে সংহার করিবার জন্য ছুটিলেন । অৰ্জ্জুন এবারও অনেক কষ্টে র্তাহাকে ফিরাইয়া আনিলেন বটে, কিন্তু কোন মতেই ভীষ্মের প্রহর হইতে নিজের সৈন্যগণকে রক্ষা করিতে পারিলেন না। সন্ধ্যা পৰ্য্যন্ত এই ভাবে যুদ্ধ চলিল। সন্ধ্যার পর ‘হায়’ ‘হয়’ করিতে করিতে পাণ্ডবেরা শিবিরে ফিরিলেন। সে রাত্রে কাহারও ঘুম হইল না। বৃদ্ধ ভীষ্মকে পুনরায় যুবকের ন্যায় উৎসাহে যুদ্ধ করিতে দেখিয়া সকলেই ভয় পাইলেন। যুধিষ্ঠির কৃষ্ণকে বলিলেন, “নিজে ইচ্ছা করিয়া না মরিলে র্যাহার মৃত্যু নাই, এমন বীরকে জয় করা ত অসম্ভব ! এখন উপায় ।” কৃষ্ণ বলিলেন, “ভীষ্ম আপনাকে আর একবার তাহার নিকট যাইতে বলিয়াছিলেন। চলুন, এই রাত্রেই তাহার সহিত দেখা করিয়া কিঞ্চিৎ উপদেশ লইয়া আসি । কৃষ্ণের কথায় সকলেরই খুব উৎসাহ হইল। ইহারা পঞ্চপাণ্ডব ও কৃষ্ণ যখন ভীষ্মের শিবিরে উপস্থিত হইয়৷