পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছোটদের মহাভারত ভীষ্মই বা আর কত সহ্য করিবেন । শিখণ্ডী সমস্ত দিন ধরিয়া তাহাৰে কঠিন আঘাত করিয়াছেন, তথাপি তিনি বিচলিত হন নাই, কিন্তু অর্জনের বাণ কি সে ভাবে অগ্রাহ করিবার উপায় আছে ? সে বাণ যতই তাহার মৰ্ম্মে গিয়া বিধিল, ততই তিনি অবশ হইয়া পড়িতে লাগিলেন, চক্ষে ততই ধোয়া দেখিতে লাগিলেন। অৰ্জ্জুন পূর্বেই ভীষ্মের ধনুক কাটিয়া ফেলিয়াছেন। তিনি একটা শক্তি ছুড়িয়ছিলেন ; অর্জন তাহাও কাটিয়াছেন। শেষে খড়গ লইলে অৰ্জ্জুন তাহাও খণ্ড খণ্ড করিয়া ফেলিলেন । ভীষ্মের শরীরে আর তিল পরিমাণ স্থানও অক্ষত ছিল না। বাণে বাণে জর্জরিত হইয়া সন্ধ্যার কিছু পূর্বে তিনি রথ হইতে পড়িয়া গেলেন । আমনি চারিদিকে কি কাতর আৰ্ত্তনাদ । সমস্ত ব্ৰহ্মাণ্ড যেন টলমল করিতে লাগিল । মর্ত্যের ক্ষুদ্র মানব আর স্বগের দেবতাগণ একসঙ্গে একই শোকে ‘হায়’ ‘হয়’ করিতে লাগিলেন । ভীষ্মের সর্ববঙ্গে এত বাণ ফুটিয়াছিল যে, রথ হইতে পড়িলেও তাহার পবিত্র দেহ ভূমি স্পর্শ করিল না ! শরশয্যায় তিনি শূন্যেই রহিয়া গেলেন। ভীষ্মের পতন-সংবাদ বিদ্যুদ্বেগে চারিদিকে ছড়াইয়া পড়িল । সৈন্যগণ অস্ত্র ফেলিয়া কবচ খুলিয়া কঁদিতে কঁাদিতে ছুটিয়া আসিল। আজ আর শক্রমিত্রে প্রভেদ নাই । আজ কৌরবের কাদিল ভীষ্মকে হারাইয়া, পাণ্ডবেরা