পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

***. ছোটদের মহাভারত অন্ত্রের বজবনি রণস্থল কঁপাইয়া তুলিল। আর কি কেহ সেখানে দাড়াইতে সাহস করে ! দেখিতে দেখিতে যুদ্ধের হাওয়া ফিরিয়া গেল। যুধিষ্ঠির ত রক্ষা পাইলেনই, শুধু তাই নর, অর্জুন কৌরবদল ছারখার করিয়া শেষে দ্রোণকে এমন শিক্ষা দিলেন যে, সেদিন আর তাহার ভাল করিয়া যুদ্ধই করা হইল না । ক্রমে সন্ধ্যা হইলে, সেদিনকার মত যুদ্ধ থামিয়া গেল । যুধিষ্ঠিরকে ধরিতে না পারিয়া আচাৰ্য্য বিষন্ন মুখে শিবিরে ফিরিলেন । সেকালে এক শ্রেণীর সৈন্য ছিল, তাহার। অগ্নি সাক্ষী করিয়া প্রতিজ্ঞ করিত যে, শক্র যতই প্রবল হউক, তাহাকে -ন মারিয়া ফিরিবে না । তাহাদিগকে "সংশপ্তক" বলিত । দুৰ্য্যোধনের দলে এই সংশপ্তক সৈন্যের অভাব ছিল না ! দ্রোণকে বিষন্ন দেখিয়া সুশৰ্ম্ম বলিলেন, “সংশপ্তকদিগের সহিত যুদ্ধ করিবার জন্য কাল আমরা অৰ্জ্জুনকে দূরে লইয়। যাইব । সেই সুযোগ আপনি যুধিষ্ঠিরকে ধরিয়া ফেলিবেন । এইরূপে যুক্তি করিয়া সকলে প্রস্তুত হইয়া রহিলেন । পরদিন যুদ্ধ আরম্ভ হইলে সংশপ্তকগণ অৰ্জ্জুনকে যুদ্ধে আহবান করিল। এরূপ স্থলে কোন বীরপুরুষই ‘না বলিতে পারেন -না। কাজেই অর্জুনকে যাইতে হইল। কিন্তু যাইবার পূর্বের তিনি যুধিষ্ঠিরকে বলিলেন, “আপনার রক্ষার জন্য আমি