পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

೯೩ ছোটদের মহাভারত কিন্তু ভগদত্তের হাতীর কাছে র্তাহাকে বড়ই নাকাল হইতে হইল। সেই\সর্ববনেশে হাতী যে শুধু ভীমকেই জব্দ করিল, তাহা নহে ; পাণ্ডবদের হাতী, ঘোড়া, রথ পায়ের তলে পিষিয়া লণ্ডভণ্ড করিয়া ফেলিল । তখন চারিদিকেই শুধু ‘হয়’ ‘হয়’ হাহাকার । অৰ্জ্জুন তখনও সংশপ্তক মারিতে ব্যস্ত। পাণ্ডবসৈন্তের কাতর চীৎকার শুনিয়া তাহার প্রাণ ব্যাকুল হইয়া উঠিল । যুধিষ্ঠিরের বিপদ ভাবিয়া তিনি কৃষ্ণকে রথ ফিরাইতে বলিলেন । কিন্তু ঠিক সেই সময় আর একদল সংশপ্তক আসিয়া তাহাকে আক্রমণ করিল। যাহা হউক, তাহাদিগকে শেষ করিতে অৰ্জ্জুনের অধিক বিলম্ব হইল না । অৰ্জ্জুন ফিরিয়া আসিয়া ভগদত্তের কাণ্ড দেখিয়া রাগে আগুন হুইয়। উঠিলেন এবং বাণে বাণে তাহাকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিলেন । বীরত্বে ভগদত্তও কম ছিল না। বিশেষতঃ তাহার কাছে যে এক মহা অস্ত্র ছিল, স্বয়ং ইন্দ্রও তাহার তেজ সহ করিতে অক্ষম ! অৰ্জ্জুনের প্রহারে অস্থির হইয়। ভগদত্ত সেই ভয়ঙ্কর অস্ত্র ছুড়িয়া মারিল ! তখন কৃষ্ণ আর কি করেন, তাড়াতাড়ি আপনার বুক পাতিয়া দিলেন । কৃষ্ণের বুকে পড়িয়া সে অস্ত্র ধোয়ার ন্যায় কোথায় মিলাইয়া গেল। অৰ্জ্জুন সে যাত্রা রক্ষা পাইলেন । এই অস্ত্রের প্রভাবুেই এতক্ষণ ভগদত্তকে কেহ হারাইতে পারে নাই। অস্ত্রহীন হওয়াতে সে অত্যন্ত দুর্বল হইয়।