পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্রোণপৰ্ব্ব " هو কর্ণ বলিলেন, “তাহা হইলে অৰ্জ্জুনকে মারা যে অসম্ভব হইবে ।” : এ কথায় দুর্য্যোধন বলিলেন, “আজ . বাচিলে তবে ত অৰ্জ্জুনকে মারিবে! এখনই যে সব শেষ হয় ” । তখন আর উপায় নাই দেখিয়া কৰ্ণ ইন্দ্রের সেই একপুরুষঘাতিনী অস্ত্র লইয়৷ ঘটোৎকচকে বধ করিলেন ! কি বিশাল তাহার দেহ । তাহার চাপেই প্রায় এক অক্ষৌহিণী কৌরবসেনা নষ্ট হইল । ঘটোৎকচের মৃত্যুতে যুধিষ্ঠির প্রভৃতির দুঃখের অবধি রহিল না। শ্ৰীকৃষ্ণ কিন্তু আনন্দে অধীর । অৰ্জ্জুন আশ্চৰ্য্য হইয়া র্তাহার আনন্দের কারণ জিজ্ঞাসা করিলে, কৃষ্ণ বলিলেন, “এতদিন কর্ণ তোমাকে মারিবার জন্য যে অস্ত্র লুকাইয়। রাখিয়৷ ছিল, আজ ঘটোৎকচ-বধে উহার কার্য্য শেষ হইয়াছে। ইন্দ্রের অস্ত্র আবার ,ইন্দ্রের নিকট ফিরিয়া গিয়াছে। এত সহজে তোমার বিপদ কাটিল, ইহা কি কম আনন্দের কথা !” ঘটোৎকচের হাত হইতে রক্ষণ পাইয়া কৌরবেরাও আনন্দে নৃত্য করিতে লাগিল। কিন্তু কর্ণের মুখ আজ বিষাদে মলিন ! হায় হায় । অৰ্জ্জুন-বধের সকল আশাই ফুরাইল । ক্রমে রাত্রি শেষ হইয়া আসিলে সৈন্যগণ শিবিরে না ফিরিয়া রণস্থলেই কিছুক্ষণ বিশ্রাম করিল। পরদিন সকাল হইতে না হইতে আবার যুদ্ধ বাধিল । আজ দ্রোণের তেজ একেবারেই অসহ । দেখিতে দেখিতে