পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ণপৰ্ব দ্রোণের মৃত্যুতে কোরবদল ভয়ে একেবারে জড়সড় হইয়৷ পড়িল । কিন্তু পরদিন কর্ণ যখন প্রধান সেনাপতি হইয়া খুব আস্ফালন আরম্ভ করিলেন, তখন সকলের উৎসাহ আবার ফিরিয়া আসিল । দুৰ্য্যোধন ভাবিলেন, এবার পাণ্ডবদের জারিজুরি ফুরাইল ! ভীষ্ম-দ্রোণ স্নেহবশতঃ তাহাদিগকে মারেন নাই । কিন্তু কৰ্ণ কাহাকেও ছাড়িবেন না । দুৰ্য্যোধনের দলের লোকেরাও ভাবিল, কর্ণের ন্যায় বীর একদিনেই পাণ্ডবদের শেষ করিবেন। আর বাস্তবিক কৰ্ণ সেদিন যে ভাবে যুদ্ধ আরম্ভ করিলেন, তাহাতে পাণ্ডবদের ভয় পাইবারই কথা । তাহার বাণের তেজে লোকে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্ত হইয়৷ ছুটাছুটি করিতে লাগিল। পাণ্ডব-সেনার রক্তে সমস্ত মাঠ লাল হইয়া উঠিল । রক্তের কাদায় পা বাড়াইবারও স্থান রহিল না। নকুল একবার খুব সাহস করিয়া আসিয়াছিলেন, কিন্তু কর্ণের হাতে তাহার হ্রগতির একশেষ হইল । কুন্তীর কাছে কৰ্ণ যে প্রতিজ্ঞ করিয়াছিলেন, সে কথা মনে না পড়িলে, হয় ত তিনি সেদিন নকুলকে মারিয়াই ফেলিতেন। রণস্থলে কৰ্ণ আশ্চৰ্য্য বীরত্ব দেখাইলেন বটে, কিন্তু । ভীমকে নিকটে না দেখিয় তাহার প্রাণ আতঙ্কে পূর্ণ হইল।