পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ NՊեր . ছোটদের মহাভারত শোক উথলিয়া উঠিল । তিনি চীৎকার করিয়া বলিলেন, “হে কর্ণ, হে কৃপ, হে অশ্বথামা, অভিমনু্যর প্রতি তোমাদের নিষ্ঠুর অত্যাচারের কথা আজ স্মরণ কর। সেই একটি বালককে মারিতে তোমরা গলদঘৰ্ম্ম হইয়াছিলে । আজ তোমাদের সাক্ষাতেই আমি বৃষসেনকে মারিব। যদি শক্তি থাকে, আসিয়া উহাকে বাচাও ।” অৰ্জ্জুনের কথায় কর্ণের মৰ্ম্মস্থল পর্যন্ত কঁাপিয়া উঠিল । প্রাণাধিক পুত্রকে বাচাইবার জন্য তিনি পাগলের ন্যায় ছুটিয়া আসিলেন এবং অৰ্জ্জুনকে যত রকমে আক্রমণ করা সম্ভব, সবই করিলেন ; কিন্তু হায় ! কিছুতেই বৃষসেনকে রক্ষা করিতে পারিলেন না। র্তাহাকে খণ্ড খণ্ড করিয়া কাটিয়া অৰ্জ্জুন অভিমনু্যর মৃত্যুর প্রতিশোধ লইলেন । এই ব্যাপারে কর্ণের বুক ত ভাঙ্গিয়া গেলই, অশ্বথামাও এমন ব্যথিত হইলেন যে, আর কালবিলম্ব না করিয়া দুৰ্য্যোধনের হাত দুইটি ধরিয়া বলিলেন, “দোহাই মহারাজ, ক্ষান্ত হও । এই সর্ববনেশে যুদ্ধে আর কাজ নাই । আমাদের সবই ত গিয়াছে ! কর্ণের মৃত্যুর পর তোমাকেও রক্ষা করা অসম্ভব হইবে ! তুমি অনুমতি দাও, পাণ্ডবদিগুকে আমি শান্ত করি। আমার অনুরোধ তাহারা কখনই অগ্রাহ করিবেন না ।” কিন্তু দুর্য্যোধনের স্কন্ধে দুষ্ট সরস্বতী চাপিয়া আছেন। এমন হিত উপদেশ তিনি শুনিবেন কেন ? এইবার যে যুদ্ধ আরম্ভ হইল, বাস্তবিক তাহা অতি