পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ণপৰ্ব্ব . دجاج ব্যাপার দেখিয়া কৰ্ণ ত অবাক । কৃষ্ণ যে এভাবে অৰ্জ্জুনকে বঁাচাইবেন, ইহা তিনি কল্পনাও করেন নাই । ইহার পর হইতে কর্ণের মনে কেমন যেন একটা ভয়ের সঞ্চার হইল। এদিকে অর্জনের তেজ ক্রমেই বাড়িয়া চলিয়াছে। তাহার প্রহারে অস্থির হইয়। কর্ণও প্রহার করিতে ক্রটি করিলেন না বটে, কিন্তু কিছুতেই তিনি আর অৰ্জ্জুনকে অঁাটিয়া উঠিতে পারিলেন না। অর্জন বাণে বাণে তাহার হাত, পা, নাক, কাণ, চোখ এবং সারা শরীর এমন করিয়া বিদ্ধ করিলেন যে, শেষে রথের উপরেই তিনি অজ্ঞান হইয়া পড়িলেন। এই সময়ে শ্ৰীকৃষ্ণ ও ভীম কর্ণকে মারিবার জন্য অর্জনকে বার বার উৎসাহ দিতে লাগিলেন । কিন্তু যে শক্র আত্মরক্ষায় অসমর্থ, বীরহাদয় অর্জুন তাহাকে কেমন করিয়া বধ করিবেন । • জ্ঞান হইলে কর্ণ ও অৰ্জ্জুনে আবার যুদ্ধ আরম্ভ হইল। কিন্তু কর্ণের আর যেন সে তেজই নাই। এই সময়ে পরশুরামদত্ত অস্ত্রগুলি থাকিলে কর্ণ আজ কি না করিতে পারিতেন ! কিন্তু হায়, নিজের দোষেই তিনি তাহ হারাইয়াছেন । পরশুরামের কাছে অস্ত্ৰ-বিদ্যা শিখিতে গিয়া তিনি নিজেকে ব্রাহ্মণ বলিয়া পরিচয় দিয়াছিলেন ! শেষে ধরা পড়িলে পরশুরাম তাহাকে এই বলিয়া শাপ দিয়াছিলেন, “আমাকে ফাকি দিতে গিয়া তুই যে মহাপাপ করিয়াছিস, সেই পাপে