পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

">b** ছোটদের মহাভারত মৃত্যুকালে এ সকল অস্ত্রের নাম পৰ্য্যন্ত তোর মনে আসিবে না।’ সেই মহাশাপ আজ এই বিপদের সময়ে ফলিল । ইহার উপর আবার এক সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত। পরশুরামের অস্ত্রে বঞ্চিত হইয়া কৰ্ণ হা-হুতাশ করিতেছেন, এমন সময় দেখিতে দেখিতে তাহার রথের চাকা মাটির ভিতর বসিয়া গেল । ইহাও কর্ণের আর এক মহাপাপের ফল । কোন সময়ে "তিনি এক ব্রাহ্মণের একটা গরু মারিয়া ফেলিয়াছিলেন ! তাহাতে ব্রাহ্মণ এই বলিয়৷ শাপ দেন যে, ‘যুদ্ধের অতি সঙ্কটকালে যখন তুই ভয়ে দিশাহারা হইয় পড়িবি, তখন তোর রথের চাকা আপনা-আপনি মাটিতে বসিয়া যাইবে ।’ আজ এই দুঃখের দিনে ব্রাহ্মণের সেই অভিশাপও ফলিল । আহা ! কর্ণের তখন কি শোচনীয় অবস্থা ! যে বীর ছেলেবেলা হইতে ভয় কাহাকে বলে জানেন না, আজ কি ন৷ তিনি ভয়ে ম্ৰিয়মাণ ! যে বীর এক সমস্ত পৃথিবী জয় করিয়াছেন, আজ কি না সামান্য একটা রথের চাকা টানিয়া তুলিতেও তিনি অক্ষম! শিরে করাঘাত করিতে করিতে কর্ণ কাদিয়া ফেলিলেন । অৰ্জ্জুনকে ডাকিয়া বলিলেন, “অৰ্জ্জুন’ তুমি পরম ধাৰ্ম্মিক ; আমাকে রথের চাকা তুলিয়া লইতে সময় দাও । তারপর আবার যুদ্ধ করিব।” কর্ণের কথায় রাগে কৃষ্ণের আপাদমস্তক জ্বলিয়া উঠিল ।