পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শল্যপর্ব দুৰ্য্যোধন র্যাহার ভরসায় ভীম, অৰ্জ্জুন অথবা কৃষ্ণ কাহাকেও গ্রাহ করিতেন না, সেই কর্ণও যখন নিহত হইলেন, তখন লোকে ভাবিল, এইবার নিশ্চয়ই যুদ্ধের শেষ হইবে ; পাণ্ডবদের সঙ্গে সন্ধি করা ছাড়া আর উপায় নাই । কিন্তু দুর্য্যোধন যে প্রকৃতির লোক, তাহাতে র্তাহার নিকট হইতে এরূপ স্ববুদ্ধি আশা করাই মূঢ়তার কাজ। তিনি যে আগুন জ্বালাইয়াছেন, তাহাতে সমস্ত পুড়াইয়া ছারখার না করিয়া ছাড়িবেন কেন ? কৃপাচার্য্য কত রকমেই না তাহাকে বুঝাইলেন, সন্ধির জন্য কত চেষ্টাই না করিলেন, কিন্তু কিছুতেই দুৰ্য্যাধনকে স্থপথে ফিরাইয় অনিতে পারিলেন না । আবার যুদ্ধের আয়োজন চলিতে লাগিল। অশ্বথামার পরামর্শে দুৰ্য্যোধন মদ্ররাজ শল্যকে এবার কৌরবদলের সেনাপতি নিযুক্ত করিলেন । এরূপ সম্মান-লাভে কাহার না আনন্দ হয় ? শল্য গর্বের্বর সহিত দুৰ্য্যোধনকে বলিলেন, “আমার তেজ তুমি যুদ্ধের সময় ভাল রকমেই দেখিতে পাইবে । পাণ্ডবেরা ত কোন ছার, দেবতাদেরও আমি গ্রাহ্য করি না ।” তিনি মুখে আরও অনেক কথা বলিলেন বটে, কিন্তু কাজের সময় এই নিয়ম করিলেন, যে, পাণ্ডবদের কাহাকেও