পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծԵrԵր ছোটদের মহাভারত চারিদিকে তাহার সন্ধান করিয়া ফিরিতেছেন। কাজেই পলায়ন ভিন্ন তখন তাহার আর কোন উপায়ই রহিল না ! রণভূমির নিকটেই দ্বৈপায়ন নামক হ্রদে একটি স্বন্দর জলস্তস্ত ছিল। দুৰ্য্যোধন পলাইয়া সেই দিকে চলিলেন । পথে সঞ্জয়কে দেখিতে পাইয়া জিজ্ঞাস করিলেন, “সঞ্জয়, আমার ভাইগুলির আর সৈন্যদের কি দশা হইয়াছে, বলিতে পার ?” সঞ্জয় বলিলেন, “মহারাজ, আমি স্বচক্ষে তাহদের সকলকেই নিহত হইতে দেখিয়াছি। কৃপ, অশ্বথাম ও কৃতবৰ্ম্ম ছাড়া আমাদের দলের অার একটি প্রাণীও জীবিত নাই।” দুঃখে দুৰ্য্যোধনের দুই চক্ষু জলে ভরিয়া উঠিল । তিনি কঁদিতে কঁাদিতে বলিলেন, “বাবাকে এই সমস্ত সংবাদ দিও । আর বলিও, ঐ জলস্তস্তের ভিতর লুকাইয়া আমি কোন রকমে এ যাত্রা প্রাণ বাচাইয়াছি।” সঞ্জয়ের নিকট সংবাদ পাইবার কিছু পরেই কৃপ, অশ্বথাম ও কৃতবৰ্ম্ম সেই স্তস্তের নিকট উপস্থিত হইলেন এবং দুর্য্যোধনকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “মহারাজ, উঠিয়া আইস । পাণ্ডবদের আর অধিক সৈন্য জীবিত নাই । আমরা চারিজনে মিলিয়া নিশ্চিতই উহাদের সব শেষ করিতে পারিব।” এ কথায় দুৰ্য্যোধন বলিলেন, “আপনার জীবিত আছেন, ইহাতে বড়ই সুখী হইলাম। আমার সর্ববাঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত । এখন যুদ্ধ করা অসম্ভব । আজ বিশ্রাম করিয়া কাল আবার সকলে মিলিয়া যুদ্ধ করিব।”