পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)eெ ছোটদের মহাভারত “প্রাণিমাত্রেরই প্রাণের ভয় থাকিবে, ইহা আর আশ্চৰ্য্য কি ? কিন্তু আমি সে জন্য পলায়ন করি নাই। একটু বিশ্রাম করিতেছি মাত্র ! তোমরাও কিছুক্ষণ বিশ্রাম কর। তার পর তোমাদের যুদ্ধের সাধ মিটাইয়া দিব।” যুধিষ্ঠির বলিলেন, “আমাদের বিশ্রামের জন্ত তোমাকে ব্যস্ত হইতে হইবে না। এখনই আসিয়া যুদ্ধ কর । তোমার ও আমার দুই জনেরই বাচিয়া থাকিবার আর উপায় নাই । হয়, আমাদের হাতে মরিয়া তুমি স্বগে যাও, না হয়, আমাদিগকে মারিয়া রাজ্যভোগ কর।” দুৰ্য্যোধন বলিলেন, “কি সুখে আর রাজ্যভোগ করিব } আমার আর কে আছে ! এ রাজ্য এখন তোমরাই ভোগ কর । আমি বনে চলিয়া যাই ।” যখন যুধিষ্ঠির উত্তেজিত হইয়া বলিলেন, “তোমার ধৃষ্টতা ত কম নয় । আমরা কি তোমার কাছে ভিক্ষা করিতে আসিয়াছি। রাজ্য ত কড়িয়া লইবই, তাহার পূর্বে তোমাকে শেষ না করিয়া ছাড়িব না ।” ইহার পর আর লুকাইয়া থাকা দুর্য্যোধনের পক্ষে অসম্ভব হইল । তিনি বাহির হইয়া আসিয়া দৃঢ়স্বরে বলিলেন, “তোমাদের কাহাকেও আমি গ্রাহ করি না ! যদি উপযুক্ত অস্ত্র পাই এবং ন্যায়মত যুদ্ধ কর, তাহ হইলে এখনও তোমাদিগকে উচিত শিক্ষা দিতে পারি ” যুধিষ্ঠির বলিলেন, “কোন মুখে ন্যায়ের কথা বলিতেছ ?