পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

տալյքiՅ ు సై') অভিমন্যকে মারিবার সময় ন্যায়-জ্ঞান ছিল কোথায় ? যাহ। হউক, তুমি ইচ্ছামত অস্ত্র ও বৰ্ম্ম লও এবং আমাদের পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে যে কোন একজনের সহিত যুদ্ধ কর; তাহাকে বিনাশ করিতে পারিলেই সমস্ত রাজ্য তোমার হইবে।” তখন দুৰ্য্যোধন বৰ্ম্মাদি পরিধান করিয়া উৎসাহের সহিত বলিলেন, “বেশ, যাহার খুসি আসিয়া গদাযুদ্ধ কর। দেখি, কে কেমন বীর !” দুৰ্য্যোধনের কথা শেষ হইতে না হইতেই ভীম গদা হস্তে লাফাইয়া উঠিয়া বলিলেন, “আজ তুমি সাক্ষাৎ যমের মুখে পড়িয়াছ ! এই হস্তে সমস্ত পশু শেষ করিয়াছি ; আজ তোমাকে মারিয়া আমাদের সকল যন্ত্রণার শোধ লইব ।” যুধিষ্ঠিরের সাহস দেখিয়া শ্ৰীকৃষ্ণ আশ্চর্ঘ্য হইলেন এবং একটু রাগও করিলেন। তিনি বলিলেন, “মহারাজ, কোন সাহসে অপনি এরূপ অদ্ভূত প্রস্তাব করিয়াছিলেন । দুৰ্য্যোধন যদি আপনাকে কিংবা অর্জন, নকুল ও সহদেব—এই তিন জনের মধ্যে কাহাকেও গদাযুদ্ধে আহবান করিত, তাহা হইলে কি সৰ্ব্বনাশ হইত, ভাবুন দেখি !" এই সময় হঠাৎ সেখানে বলরামকে দেখিতে পাওয়া গেল ! ভীম ও দুৰ্য্যোধন উভয়েই র্তাহার শিষ্য । তাহারা ভক্তিভরে প্রণাম করিলে, বলরাম আশীৰ্ব্বাদ করিয়া বলিলেন, "পবিত্র কুরুক্ষেত্রে গিয়া যুদ্ধ কর। সেখানে মরিলে স্বৰ্গলাভ হইবে।”