পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শল্যপৰ্ব্ব & তার পর ইচ্ছা করিয়া এমন সুযোগ দিলেন যেন, তাহার মস্তকে আঘাত করিবার জন্য দুর্য্যোধন লাফাইয় উঠেন । ভীমের ফন্দি কিন্তু দুৰ্য্যোধন বুঝিলেন না । মারিবার সুযোগ পাইয়া যেই তিনি লাফাইয়া উঠিয়াছেন, অমনি ভীম দারুণ আঘাতে তাহার দুই উরু এমন করিয়া ভাঙ্গিয়া দিলেন যে, দাড়াইয়া থাকাই তাহার পক্ষে অসম্ভব হইয়া উঠিল । দুৰ্য্যোধনকে পড়িতে দেখিয়া ভীম ছুটিয়া গিয়া তাহার মস্তকে পদাঘাত করতে করিতে বলিলেন, “এইবার পাশ খেলার কথা, দ্রৌপদীর অপমানের কথা এবং আমাদের নিৰ্য্যাতনের কথা স্মরণ কর। আজ আমি প্রতিজ্ঞা হইতে মুক্ত হইলাম আর এই কালযুদ্ধও শেষ হইল।” ভীমের এই ব্যবহারে কেহই সস্তুষ্ট হইলেন না । যুধিষ্ঠির র্তাহাকে তিরস্কার করিতে লাগিলেন । শেযে দুৰ্য্যোধনের কাছে গিয়া, বলিলেন, “ভাই, বুদ্ধির দোযেই আজ তোমার এই দশা হইয়াছে। যাহা হউক, দুঃখ করিও না ; আজই তুমি স্বর্গে চলিয়। যাইবে। আর আমরা আত্মীয়-বন্ধুর শোকে এখানে পড়িয়া হাহাকার করিতে থাকিব ।” এই বলিতে বলিতে তিনি বার বার চোখের জল মুছিতে লাগিলেন । এদিকে বলরাম ত চটিয়া "লাল। গদা-যুদ্ধে নাভির নীচে মারিতে নাই । ভীম অন্যায় করিয়া দুৰ্য্যোধনকে মারিয়াছেন, এই রাগে তিনি লাঙ্গল উঠাইয়া ভীমের প্রতি ধাবিত হইলেন । ... "