পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌপ্তিকপৰ্ব রাত্রি হইলে কৃপ, অশ্বথাম আর কৃতবৰ্ম্ম বিশ্রামের জন্য দুৰ্য্যোধনকে সেই স্থানে ত্যাগ করিয়া বনের ভিতর প্রবেশ করিলেন সারাদিন পরিশ্রম করিয়া তিনজনেই অত্যন্ত ক্লান্ত হইয়। পড়িয়াছিলেন । কাজেই ঘোড়া হইতে নামিয় একটা বট গাছের নীচে শুইবামাত্র কৃপ ও কৃতবৰ্ম্মা গাঢ় ঘুমে অচেতন হইয়া পড়িলেন । অশ্বথামার চোখে কিন্তু নিদ্রা নাই ; কিরূপে পাণ্ডবদের বধ করিবেন, এই চিন্তায় তিনি অস্থির । নিকটে এক গাছে কতকগুলি কাক সুখে নিদ্র। যাইতেছিল । হঠাৎ তিনি দেখিতে পাইলেন যে, একটা পেচক উড়িয়া আসিয়ু সেই ঘুমন্ত কাক গুলিকে মিঠুরভাবে বধ করিতেছে । তিনি একদৃষ্টে সেই দিকে চাহিয়৷ রহিলেন । শেষে যখন দেখিলেন, পেচকের অত্যাচারে একটি কাক ও রক্ষা পাইল না, তখন র্তাহার মনে হইল, “এই ত বেশ সহজ উপায় । আমিও কেন এই উপায়ে শক্ৰকুল নিৰ্ম্মল করি ন৷ ” আর কি অশ্বথামা স্থির থাকিতে পারেন । তখনই সঙ্গীদিগকে উঠাইয়া আগ্রহের সহিত নিজ মনের কথা জানাইলেন । তার পর বলিলেন, “আর দেরী নয়, এখনই চল, কাজ শেষ করিয়া আসি।”