পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোপ্তিকপৰ্ব্ব సెసె শেষ করিয়া ফেলিলেন । তার পর এক এক করিয়া দ্রৌপদীর পাঁচ পুত্রকেও কাটিয়া, পাণ্ডবদের যে যেখানে ছিল, স্ত্রীলোক ছাড়া, প্রায় সকলইে যমালয়ে পাঠাইলেন । যাহারা পলাইতে চেষ্টা করিয়াছিল, কৃপ ও কৃতবৰ্ম্মার অস্ত্র এড়ান তাহাদের পক্ষে অসম্ভব হইল । শ্রীকৃষ্ণের পরামর্শে পাণ্ডবেরা পাঁচ ভাই আর সাত্যকি সে রাত্রে শিবিরে বাস করেন নাই । নচেৎ কি সৰ্ব্বনাশই ন হইত ! ইহার পর কৃপ, অশ্বথামা ও কৃতবৰ্ম্ম আহিলাদে নাচিতে নাচিতে যখন দুৰ্য্যোধনের নিকট উপস্থিত হইলেন, তখন র্তাহার মৃত্যু আসন্ন । হাত-পা একেবারে ঠাণ্ড হইয়া গিয়াছে ; কেবল বুকের কাছে একটু ধুকধুক করিতেছে। শৃগাল প্রভৃতি জস্তুগণ মাংসের লোভে র্তাহার চারিদিকে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে । দুৰ্য্যোধনের দিকে চাহিয় তাহাদের বুক ফাটিয়া যাইতে লাগিল। অশ্বথামা চীৎকার করিয়া বলিলেন, “হে মহারাজ, এই শেষ সময়ে তোমাকে আনন্দের সংবাদ দিতেছি । তোমার শত্ৰুকুল প্রায় শেষ হইয়াছে। পাণ্ডব-শিবিরে স্ত্রীলোক ছাড়া আর একটিও প্রাণী জীবিত নাই। 'পঞ্চপাণ্ডব, কৃষ্ণ ও সাত্যকি শিবিরে ছিলেন না বলিয়াই রক্ষা পাইয়াছেন।” এ সংবাদে দুর্য্যোধন মুহূর্বের জন্য যেন নূতন জীবন লাভ করিলেন। র্তাহার শুষ্ক মলিন মুখে আনন্দের হাসি ফুটিয়৷