পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 е е ছোটদের মহাভারত উঠিল । তাহাদিগকে ধন্যবাদ দিয়া দুৰ্য্যোধন ধীরে ধীরে বলিলেন, “আর আমার কোন দুঃখ নাই ; আজ আমি ইন্দ্রের স্যায় সুখী । আপনাদের মঙ্গল হউক।” এই বলিয়া তিনি চিরনিদ্রায় অভিভূত হইলেন । এদিকে প্রভাত হইতে না হইতে পাণ্ডব-শিবিবে ভয়ানক কান্নার রোল উঠিল । যুধিষ্ঠির প্রভৃতির ত কথাই নাই, যে কৃষ্ণ কত দুঃখের দিনে পাণ্ডবের মনে সান্তন দিয়াছেন, তাহাদের শোকের অশ্রু মুছাইয়াছেন, আজ র্তাহার চক্ষে ও জল । দ্রৌপদী কাদিতে কঁাদিতে অজ্ঞান হইয়া পড়িলেন । তার পর যখন জ্ঞান হইল, তিনি উত্তেজনার সহিত বলিলেন, "এখনই সেই দুবৃত্ত অশ্বথামাকে মারিয়া, তাহার মাথার মণি আনিয়া ন দিলে আমি অনাহারে প্রাণত্যাগ করিব !” শ্ৰীকৃষ্ণ, যুধিষ্ঠির প্রভৃতি দ্রৌপদীকে কত বুঝাইলেন, কিন্তু র্তাহার মুখে সেই একই কথা—“আমি সে মণি চাই ।” দ্রৌপদীর ক্রনদন ভীম আর সহ্য করিতে পারিলেন না । তখনই নকুলকে রথের সারথি করিয়া অশ্বথামার সন্ধানে বাহির হইলেন । শ্ৰীকৃষ্ণ দেখিলেন, মহা বিপদ ! অশ্বথামার কাছে ‘ব্রহ্মশিরী নামে দ্রোণাচার্য্যের ষে মহাস্ত্র আছে, যদি রাগের ভরে তিনি সেই অস্ত্র মারিয়া বসেন, তবে ভীমকে রক্ষা করাই অসম্ভব হইবে । সেই জন্য তাড়াতাড়ি যুধিষ্ঠির আর অৰ্জ্জুনকে লইয়া তিনিও ভীমের পিছন পিছন রথ ছুটাইয়া দিলেন ।