পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌপ্তিকপৰ্ব্ব s-e পাণ্ডবদের ভয়ে অশ্বথামা তখন ব্যাসদেবের আশ্রমে গিয়া লুকাইয়া ছিলেন। দূর হইতে ভীমকে দেখিয়াই তাহার মুখ শুকাইয় গেল । তার পর ভীমের পশ্চাতে যখন যুধিষ্ঠির, কৃষ্ণ ও অৰ্জ্জুনকে দেখিলেন, তখন , নিতান্ত ভয় পাইয়া ‘পাণ্ডব-ৰংশ লোপ হউক বলিয়া তিনি সেই সৰ্ব্বনেশে অস্ত্রটি ছাড়িয়া বসিলেন । এতক্ষণ কৃষ্ণ যে ভয় করিতেছিলেন, তাহাই হইল। তখন অৰ্জ্জুন আর কি করেন, র্তাহার কাছে দ্রোণের যে দিব্যাস্ত্র ছিল, অশ্বথামার অস্ত্র নিবারণ করিবার জন্য তাহ ন ছাড়িয়া পারিলেন না । অমনি সেই দুই মহা অস্ত্রের তেজে স্বৰ্গ-মর্ত্যে ভীষণ তোলপাড় আরম্ভ হইল। স্বষ্টি বুঝি লোপ পায় । সৰ্ব্বনাশের উপক্রম দেখিয়া নারদ ও ব্যাস আর চুপ করিয়া থাকিতে পারিলেন না । মুনিদ্বয় ছুটিয়া আসিয়া সেই দুই অস্ত্রের মাঝখানে দাড়াইয়া, উভয়কে আপন আপন অস্ত্র থামাইতে অনুরোধ করিলেন । র্যাহার মনে বিন্দুমাত্র কুভাব নাই, অস্ত্র থামান তাহার পক্ষে খুবই সহজ, কিন্তু যাহার মন সেরূপ নহে, অস্ত্র থামাইতে গেলে তাহা দ্বার। তিনি নিজেই মারা পড়েন । i. অৰ্জ্জুন সাধু পুরুষ । অস্ত্র থামাইতে র্তাহার কোনই কষ্ট নাই, কিন্তু অশ্বথামার সে সাহসই হইল না । তিনি বলিলেন, “পাণ্ডবদের ভয়েই আমি অস্ত্র ছাড়িয়াছিলাম। যদি