পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীপৰ্ব দুৰ্য্যোধনের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে কুরুক্ষেত্রের ভীষণ , যুদ্ধ শেষ হইল । আঠার দিন ধরিয়া যুদ্ধ চলিয়াছিল ; এই আঠার দিনে আঠার অক্ষৌহিণী লোক প্রাণ হারাইল ! কুরুক্ষেত্র মহাশ্মশানে পরিণত হইল । সঞ্জয় কঁদিতে কঁাদিতে এই সবর্ণনাশের সংবাদ লইয়। আসিলে, হস্তিনীর ঘরে ঘরে ক্রনদনের রোল উঠিল । লোকে একটি পুত্র হারাইলে পাগল হইয়া যায় ; ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারী এক শত পুত্র হারাইয়াছেন ; আজ র্তাহীদের প্রাণে যে কি দারুণ যাতনা, কে তাহ বর্ণনা করিতে পারে ? আর বিধবা পুত্রবধূগুলির দিকে তাকাইলে, এমন পাষাণ কে আছে, যাহার বুক না ফাটিয়া যায় ! ব্যাস, বিদুর প্রভূতি কত রকমেই না তাহাদিগকে সান্তুনা দিতে লাগিলেন, কিন্তু সে ব্যথা কি কেহ ভুলিতে পারে । যাহা হউক, তাহারা কতকটা স্থির হইলে, বিদুর বলিলেন, “মহারাজ, যাহা হইবার হইয়াছে ; আপনি জ্ঞানী ও সুপণ্ডিত; এখন মৃত আত্মীয়-স্বজনের শ্রাদ্ধের আয়োজন করুন।” বিদুরের কথায় ধৃতরাষ্ট্র গৃহের স্ত্রী-পুরুষ সকলকে লইয়া যুদ্ধক্ষেত্রে যাত্রা করিলেন। পাণ্ডবেরা আগেই সেখানে গিয়া