পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীপৰ্ব্ব २.०१ পর-নাই লজ্জিত হইলেন । শেষে সকলকে স্নেহালিঙ্গন দিয়া সাস্তুনা লাভ করিলেন । ব্যাসদেবের উপদেশে গান্ধারীর হৃদয় পূর্বেই বিদ্বেষশূন্ত, হইয়াছিল। কিন্তু তথাপি র্তাহার কাছে যাইতে - পাণ্ডবেরা বিশেষ ভয় পাইতেছিলেন । কেন না, সেই ধাৰ্ম্মিক রমণী ক্রোধে যদি শাপ দিয়া বসেন, তাহ হইলে আর রক্ষা থাকিবে না । কিন্তু যে রমণী জীবনে কখনও একটি অন্যায় কাজ করেন নাই, ধৰ্ম্মের জয় এবং অধৰ্ম্মের ক্ষয়’ ইহাই যাহার জীবনের মূলমন্ত্র, সেই গান্ধারী কি রাগের বশে শাপ দিয়া পাণ্ডবদের সৰ্ব্বনাশ করিতে পারেন? যুদ্ধে যাইবার পূর্বে দুৰ্য্যোধন তাহার আশীৰ্ব্ববাদ ভিক্ষা করিতে আসিয়াছিলেন, তখন সামান্য নারী হইলে তিনি পুত্রেরই জয় কামনা করিতেন কিন্তু তাহ না করিয়া তিনি বলিয়াছিলেন, “ধৰ্ম্মের জয় হউক ৷” হৃদয় যাহার এত উচ্চ, অকারণে পাণ্ডবদের প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করা তাহার পক্ষে কি সস্তব ? যুধিষ্ঠির প্রভৃতি চরণে প্রণত হইলে, তিনি কিছুমাত্র বিচলিত না হইয়া সকলকে আশীৰ্ববাদ-দানে কৃতাৰ্থ করিলেন । শ্ৰীকৃষ্ণের উপর কিন্তু গান্ধারীর রাগ কিছুতেই কমিল না ! কৃষ্ণকে নিকটে দেখিয়া তিনি বলিলেন, “তুমি না বলিতে কৌরব ও পাণ্ডব—উভয় পক্ষই তোমার নিকট সমান ! । কাজের সময় সে কথা রাখিতে পারিলে কই ? আজ এই >S