পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বমেধিকপর্ব । ভীষ্মদেবের শ্রাদ্ধাদি শেষ হইলে পর, শ্ৰীকৃষ্ণ, ব্যাস প্রভৃতি যুধিষ্ঠিরকে অশ্বমেধ যজ্ঞ করিতে উপদেশ দিলেন । র্তাহারা বলিলেন, “এই যজ্ঞ করিলে একদিকে যেমন পুণ্যসঞ্চয় হইবে, অপরদিকে তেমনি মনের সকল অশান্তি দূর হইবে।” এ কথায় যুধিষ্ঠিরের খুব উৎসাহ হইল বটে, কিন্তু সহসা এত বড় ব্যাপারে হাত দিতে তাহার সাহস হইল না। অশ্বমেধ অতি কঠিন যজ্ঞ । ইহাতে বহু অর্থের প্রয়োজন । অথচ ধন-রত্ব যাহা ছিল, যুদ্ধে সমস্তই নিঃশেষ হইয়া গিয়াছে ; রাজকোষ একেবারে শূন্য । এ অবস্থায় কিরূপে যে যজ্ঞ করা যাইতে পারে, যুধিষ্ঠির ভাবিয়া কুল-কিনারা পাইলেন না । তখন ব্যাসদেব বলিলেন, “বৎস, অর্থের জন্য চিন্তা নাই । আমি তোমাকে অর্থের সন্ধান বলিয়া দিতেছি । বহুকাল পূর্বে মহারাজ মরুত্ত হিমালয়-পৰ্ব্বতে এক বৃহৎ যজ্ঞ করিয়াছিলেন। সেই যজ্ঞে তিনি ব্রাহ্মণদিগকে এত রাশি রাশি ধন দান করিয়াছিলেন যে, তাহারা তাহ বহিয়া লইয়া শেষ করিতে পারেন নাই । এখনও সেখানে প্রচুর ধন পড়িয়া আছে । তাহা আনাইতে পারিলে, তুমি অনায়াসেই অশ্বমেধ যজ্ঞ করিতে পরিবে ।” ব্যাসদেবের কথায় যুধিষ্ঠির তখনই মন্ত্রী ও ভাইদের সহিত