পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বমেধিক পৰ্ব্ব *)* ছাড়িলেন না, তখন অৰ্জ্জুনকে বাধ্য হইয়া রক্তপাত করিতে হইল। দুই চারি জন নিহত হইলে আর সকলে হাত জোড় করিয়া তাহার নিকট ক্ষমা চাহিলেন । , সেখান হইতে ঘোড়া প্রাগজ্যোতিষে উপস্থিত হইল । ভগদত্তের পুত্ৰ বজ্ৰদত্ত তখন সেখানকার রাজা । অৰ্জ্জুনকে দেখিয়া বজ্ৰদত্ত চীৎকার করিয়া বলিল, “আজ তোমাকে মারিয়া পিতার মৃত্যুর শোধ লইব ।” কিন্তু যুদ্ধ আরম্ভ হইলে তাহাকে জব্দ করিতে অর্জনকে কিছুমাত্র ক্লেশ পাইতে হইল না। যুধিষ্ঠিরের আদেশ মান্য করিয়াই অর্জুন তাহাকে ছাড়িয়া দিলেন । সিন্ধুদেশের লোকেরাও ঘোড়া আটক করিয়া অৰ্জ্জুনকে আক্রমণ করিতে ক্রটি করিল না । ক্রমে তাহারা যখন অত্যন্ত বাড়াবাড়ি আরম্ভ করিল, তখন অৰ্জ্জুনও একদিক্ হইতে সব শেষ করিতে লাগিলেন । লোকের হাহাকারে জয়দ্রথের স্ত্রী ( ধৃতরাষ্ট্রের কন্যা ) দুঃশলা তাহার শিশু পৌত্রটিকে কোলে লইয়া অৰ্জ্জুনের কাছে আসিয়া কাদিতে কঁাদিতে বললেন, “ভাই, আমার স্বামী যুদ্ধে হত হইলে, আমার একমাত্র পুত্র সুরথ পিতার শোকে নিতান্ত কাতর হইয়া পড়ে । তোমার আগমন-সংবাদ পাইয়াই আজ সে প্রাণত্যাগ করিয়াছে। তাহার এই শিশু পুত্রটিই এখন আমার একমাত্র অবলম্বন ৷” দুঃশলা ও র্তাহার পৌত্রকে দেখিয়া অৰ্জ্জুনের প্রাণে দারুণ