পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 》br ছোটদের মহাভারত আঘাত লাগিল । তিনি গাণ্ডীব ফেলিয়া চোখের জল মুছিতে মুছিতে বলিলেন, “ধিক ক্ষত্রিয় ধৰ্ম্মে " শেষে নানা রকম মিষ্ট কথায় দুঃশলাকে সাস্তুনা দিয়া অৰ্জ্জুন তাহার নিকট বিদায় লইলেন । ইহার পর ষজ্ঞের ঘোড়া মণিপুরে উপস্থিত হইল। রাজকুমারী চিত্রাঙ্গদার সহিত অর্জনের বিবাহ হইয়াছিল। সেই চিত্রাঙ্গদার পুত্র বভ্ৰবাহন এখন মণিপুরের রাজা । পিতার আগমন সংবাদ পাইয়। তিনি রিনীতভাবে আসিয়া অৰ্জ্জুনের সহিত দেখা করিলেন । অর্জন কিন্তু তাহাকে এইভাবে আসিতে দেখিয়া একটুও সস্তুষ্ট হইলেন না ; বলিলেন, “আমি এখন মহারাজ যুধিষ্ঠিরের অশ্বরক্ষায় নিযুক্ত হইয়া তোমার রাজ্যে প্রবেশ করিয়াছি, পিতারূপে আসি নাই। কাপুরুষের ন্যায় হাতযোড় না করিয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও ।” এ কথায় বক্রবাহন হঠাৎ যেন থতমত খাইয়া গেলেন। তার পর কি করা উচিত ভাবিতেছেন, এমন সময় সহসা নাগকন্যা উলুপী ( অৰ্জ্জুনের আর এক স্ত্রী) সেখানে আসিয়া বলিলেন, “বৎস, আমি তোমার বিমাতা । তোমার পিত যখন যুদ্ধে আহবান করিতেছেন, তখন র্তাহার সহিত যুদ্ধ করাই তোমার কৰ্ত্তব্য ।” ইহার পর পিতাপুত্রে অতি ঘোরতর যুদ্ধ আরম্ভ হইলে । কুরুক্ষেত্রের মহা সমরের পর এমন যুদ্ধ আর হয় নাই।