পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বমেধিক পৰ্ব্ব זכה לא সেই যুদ্ধে পুত্রের এক ভীষণ বাণে অৰ্জ্জুন মৃতপ্রায় হইয়। পড়িলেন । র্তাহাকে অজ্ঞান হইতে দেখিয়া দুঃখে বক্রবাহনও জ্ঞান হারাইলেন । 鸭 তখন চিত্রাঙ্গদ কঁদিতে কঁাদিতে ছুটিয়া আসিয়৷ বলিলেন, “উলুপী, তোমার মনে এই ছিল । পুত্রের দ্বারা পিতাকে হত্য করাইয়া কি সববনাশ করিলে, একবার ভাবিয়া দেখ !” ইতিমধ্যে বক্রবাহনের জ্ঞান ফিরিয়া আসিয়াছে। উলুপীকে সম্মুখে দেখিয়া তিনিও তাহাকে তিরস্কার করিতে লাগিলেন ; শেষে বলিলেন, “তোমার কথায় আমি মহাপাপ করিলাম ; মৃত্যু ভিন্ন ইহার আর প্রায়শ্চিত্ত নাই!” উলুপী কিন্তু কিছুমাত্র বিচলিত না হইয়া বলিলেন, “বৎস, ব্যস্ত হইও না ! আমি মন্দ উদ্দেশ্যে এ কাজ করি নাই। তোমার পিতা শিখণ্ডীকে সম্মুখে রাখিয়৷ ভীস্মকে বধ করিয়৷ ছিলেন । এই অপরাধে গঙ্গাদেবী তাহার উপর অত্যন্ত বিরক্ত হন । তিনি তোমার পিতাকে শাপ দিতে উদ্যত হইলে, আমি হাতে পায়ে ধরিয়া তাহাকে শান্ত করি । তখন তিনি বলিয়াছিলেন, ‘বক্রবাহনের হস্তে মৃত্যু ন হইলে অৰ্জ্জুনের পাপ কাটিবে না। এই জন্যই আমি তোমাকে যুদ্ধে উৎসাহিত করিয়াছি!” এই বলিয়া উলুপী নাগলোক হইতে সঞ্জীবনী মণি আনাইয়া অৰ্জ্জুনের বক্ষে রাখিবামাত্র তিনি চক্ষু মেলিয়া উঠিয়া বসিলেন। উলুপীর চেষ্টাতেই অৰ্জ্জুন রক্ষা পাইলেন দেখিয়া সকলে যার-পর নাই সুখী হইলেন ।