পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্রমবালিকপৰ্ব্ব २२ét তিনি ধৃতরাষ্ট্রকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কাকাকে দেখিতেছি না কেন ? তিনি কোথায় ?” অন্ধরাজ বলিলেন, “বিদুর অতি কঠোর তপস্য। আরস্ত করিয়াছেন । তিনি নিবিড় অরণ্যে একাকী বাস করেন ; অনাহারে অস্থি-চৰ্ম্ম-সার হইয়াছেন । মাঝে মাঝে তাহাকে দেখিতে পাওয়া যায় ।” এই সময় হঠাৎ আশ্রমের সম্মুখে বিছরকে দেখিতে পাওয়া গেল ! তাহাকে বনের দিকে যাইতে দেখিয়৷ যুধিষ্ঠির ‘কাকা’ ‘কাকা’ বলিয়৷ চীৎকার করিতে করিতে সেই দিকে ছুটিলেন । বিদুর একটি কথাও বলিলেম না । শেষে র্তাহাকে একটি গাছের নীচে দাড়াইতে দেখিয়া যুধিষ্ঠিরও সেখানে উপস্থিত হইলেন । কিন্তু বিছর আর তখন জীবিত নাই ! যুধিষ্ঠির আসিবার পূর্বেই তাহার পবিত্র আত্মা পৃথিবী ছাড়িয়া স্বগে চলিয়া গিয়াছে । বিদুরের শোকে যুধিষ্ঠির কাদিতে কঁাদিতে আশ্রমে ফিরিয়া আসিলেন । তখন কেহই আর চক্ষের জল রাখিতে পারিলেন না। এই সময় ব্যাসদেব আসিয়া সকলকে সাস্তুনা দিয়া বলিলেন, “বিছরের জন্য তোমরা শোক করিও না’। মাণ্ডব্য মুনির শাপে \ স্বয়ং ধৰ্ম্ম বিদুররূপে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। এখন তিনি স্বগে অতি উচ্চস্থান লাভ করিয়াছেন ।” ইহার পর মহর্ষি ব্যাস যোগবলে এক অতি অস্তুত কাজ ।