মৌষলপর্ব যুধিষ্ঠিরের রাজত্বের তখন ঠিক ছত্রিশ বৎসর পূর্ণ হইয়াছে, তখন দ্বারকার চারিদিকে নানা অমঙ্গলের লক্ষণ দেখা যইতে লাগিল। গান্ধারীর অভিশাপের কথা স্মরণ করিয়া শ্ৰীকৃষ্ণ বুঝিলেন, এইবার আর রক্ষা নাই ! এই সময় একদিন মহর্ষি বিশ্বামিত্র, কথ ও নারদ কৃষ্ণের সহিত দেখা করিতে আসিলে, দ্বারকার কয়েকটি দুষ্ট বালক একটা লৌহ মূষলের কথা লইয়। র্তাহাদিগকে উপহাস করে । ইহাতে র্তাহার ক্রোধভরে শাপ দেন,—“এই মুষলই তোদের সৰ্ব্বনাশের কারণ হইবে । কৃষ্ণ ও বলরাম ছাড়া যদুবংশের আর কেহই রক্ষা পাইবে না ।” এ কথা শ্ৰীকৃষ্ণের কাণে পন্থছিলে, তিনি কিছুমাত্র ব্যস্ত হইলেন না কিংবা বিপদ নিবারণের কোন চেষ্টাও করিলেন না । বালকেরা কিন্তু ভয় পাইয়। মুম্বলটা খণ্ড খণ্ড করিয়া সমুদ্রে ফেলিয়া দিল । মুষল নষ্ট করিয়া তাহারা নিশ্চিন্ত হইল বটে কিন্তু ঋষিদের শাপ ত মিথ্য হইবার নয় । অতি স্বামান্য কারণ হইতেই একদিন সৰ্ব্বনাশের সূত্রপাত হইল । যাদবের প্রায়ই আমোদ-আহলাদের জন্য প্রভাস-তীর্থে বাইত । একদিন সেখানে গিয়া মদ খাইয় তাহারা অত্যন্ত
পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।