পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদিপৰ্ব্ব २. ६. ভীম অনেক ধমক দিলেন, সে কিন্তু , কিছুতেই দমিল না। তখন যুদ্ধ ছাড়া আর উপায় কি ? সেই ভীষণ যুদ্ধে জঙ্গলের একটি গাছও খাড়া রহিল না। আশ-পাশের বহুদূর পর্যন্ত রক্তে লাল হইয়া উঠিল । শেষে ভীম রাক্ষসকে সাপটিয়; ধরিয়া এমন আছাড় দিলেন যে, সেই এক আছাড়েই তাহার পিঠের দাড়া মটু করিয়া ভাঙ্গিয় গেল । যুদ্ধেব গোলমালে জাগিয়া উঠিয়া সকলে ত অবাক । হিড়িম্বাকে দেখিয়া এবং তাহার মুখে সকল কথা শুনিয়া কুন্তী ও যুধিষ্ঠির এতই সন্তুষ্ট হইলেন যে, তাহার সহিত ভীমের । বিবাহ দিতে মুহূৰ্ত্তও বিলম্ব করিলেন না । যথাসময়ে হিড়িম্বার একটি ছেলে হইল, তাহার নাম ঘটোৎকচ ; জন্মিবামাত্র সে ভীমকে বলিল, “বাবা, এখন আমি যাই । আপনার যখন যে কোন দরকার হইবে, ডাকিলেই আসিব ।” ইহার পর পাণ্ডবেরা আবার বনে ঘুরিতে লাগিলেন । চারিদিকে দুর্য্যোধনের লোক । ধরা পড়িবার ভয়ে সকলেই তপস্বীর বেশ ধারণ করিলেন । ক্রমে নানা বন, নানা রাজ্য পার হইয়া, বাসদেলের পরামর্শে র্তাহার একচক্র নামক নগরে এক ব্রাহ্মণের গৃহে আশ্রয় লইলেন। ব্যাসদেব সম্পর্কে কৌরব ও পাণ্ডবের পিতামহ । সেখানে পাচ ভাই সারাদিন ভিক্ষা করিয়া বেড়াইতেন । , সন্ধ্যার পর মায়ের কাছে আসিয়া ভিক্ষার অন্ন দুই ভাগ: করিতেন। এক ভাগ ভীমের আর এক ভাগ বাকি সকলের ।